গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় শিশুসহ হতাহত ৭

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গাজাজুড়ে এক ফিলিস্তিনি নিহত এবং শিশুসহ আরো ছয়জন আহত হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা |সংগৃহীত

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর হুমকির মধ্যেই অবরুদ্ধ গাজাজুড়ে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে একজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক শিশুসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর গুলিবর্ষণে আইয়ুব আবদেল আয়েশ নাসর নামে একজন ফিলিস্তিনি ব্যক্তি নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফাকে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, খান ইউনিসের পূর্বে গুলিবিদ্ধ হয়ে আরো তিনজন আহত হয়েছেন। এছাড়াও গাজার মধ্যাঞ্চলের মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে এক শিশু আহত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি বাহিনী বিধ্বস্ত অঞ্চলটিতে ৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরাইল যুদ্ধবিরতির ‘গুরুতর ও পদ্ধতিগত লঙ্ঘন’ করে চলেছে। সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, ইসরাইলি বাহিনী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ৮৭৫ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। ওষুধ ও চিকিৎসা সরবরাহসহ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সাহায্যের অভাব পরিস্থিতির আরো অবনতি করছে।

গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০-দফা পরিকল্পনায় প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে এবং এরপরে আরো বিস্তৃত শান্তির দিকে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তবে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র প্রথম পর্যায় কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইসরাইলি পণবন্দী ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর আংশিক প্রত্যাহার।

তবে এর মধ্যেও ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে চলেছে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা আটকে দিচ্ছে, যদিও চুক্তির প্রথম পর্যায়ে এগুলো উল্লেখ করা হয়েছিল।

সূত্র : আল জাজিরা