গাজায় যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বৈঠক

শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বৈঠকে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন জসিম আল থানি, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এবং মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি উপস্থিত থাকবেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা |সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ এগিয়ে নিতে মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ ফ্লোরিডার মিয়ামিতে কাতার, মিসর ও তুরস্কের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করার জন্য উইটকফ তিন দেশের প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করতে প্রস্তুত।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বৈঠকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানি, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এবং মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম একজন ইসরাইলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় ও সম্ভাব্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি সীমিত নিরাপত্তা বৈঠক করছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা প্রক্রিয়া থেকে সরে আসলে ইসরাইল হামাসকে নিরস্ত্র করার জন্য একটি নতুন সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে। যদিও তিনি স্বীকার করেন, ট্রাম্প গাজায় শান্তি বজায় রাখতে চান বলে এই ধরনের পদক্ষেপ নেয়া অসম্ভব।

যুদ্ধবিরতি অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য ওয়াশিংটনের জোর দাবি সত্ত্বেও ইসরাইলি বাহিনী গাজায় তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে। তারা প্রথম পর্যায়ের শর্তাবলী লঙ্ঘন করে চলেছে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সাহায্যের অবাধ প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে।

ওয়াশিংটনে ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, নেতানিয়াহু সম্ভবত বড়দিনের ছুটিতে ফ্লোরিডায় তার সাথে দেখা করতে আসবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের শুরুর জন্য তাকে চাপ দিচ্ছেন।

গাজায় দুই বছরের সামরিক আগ্রাসনের পর মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিসর চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের দিকে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পরিকল্পনায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার এবং একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীল বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সূত্র : আল জাজিরা