লেবানন, সিরিয়া, গাজা, ইয়েমেনে হামলা চলবে : ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

গাজায় আক্রমণ আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হাউছিদের সাথে আক্রমণ বিনিময়ের সূত্রপাত করে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ
ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ |সংগৃহীত

ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বলেছেন, লেবানন, সিরিয়া, গাজা ও ইয়েমেনে সামরিক আক্রমণ অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার এবং উত্তেজনা হ্রাসের জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তিনি এ হুমকি দিয়েছেন।

ইসরাইলি বিমান বাহিনীর পাইলটদের জন্য এক প্রশিক্ষণ কোর্সে কাটজ বলেছেন, লেবানন, সিরিয়া, গাজা উপত্যকা ও ইয়েমেনে তারা অভিযান চালিয়ে যাবে। এ সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সেনাপ্রধান ইয়াল জামির উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘লেবাননে আমরা হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ অব্যাহত রাখব, সিরিয়ায় হারমন পর্বত (জাবাল আল-শেখ) ও নিরাপত্তা অঞ্চল থেকে সরে যাবে না ইসরাইল এবং গাজা উপত্যকায় ইসরাইল হামাসকে ভেঙে ফেলা এবং অঞ্চলটিকে নিরস্ত্র করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তিনি আরো বলেন, ‘আর ইয়েমেনের ক্ষেত্রে, হাউছিরা যাতে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে না পারে সে জন্য ইসরাইল তার অভিযান চালিয়ে যাবে।’

তেহরানের সাথে বিরোধের কথা উল্লেখ করে কাটজ দাবি করেন, ইসরাইল ‘ইরানের পারমাণবিক ও কৌশলগত সক্ষমতার উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করেছে’।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের মার্কিন অংশীদারদের সহযোগিতায় ইরানের ওপর দৃঢ়ভাবে আঘাত করেছি। নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। স্বাভাবিকভাবেই, আমি এ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারছি না।’

গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ৭১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের বেশিভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজারেরও বেশি।

গাজায় আক্রমণ আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হাউছিদের সাথে আক্রমণ বিনিময়ের সূত্রপাত করে। চলতি বছরের জুন মাসে ইসরাইলি বাহিনী ইরানের বিরুদ্ধেও ১২ দিনের যুদ্ধ শুরু করে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

তেল আবিব সিরিয়ার ভূখণ্ডেও বারবার সীমান্ত অতিক্রম করে হামলা চালিয়েছে। যার কারণে বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এবং সিরিয়ার সামরিক স্থাপনা, যানবাহন, অস্ত্র ও গোলাবারুদ ধ্বংস হয়েছে।

সূত্র : আনাদোলু অ্যাজেন্সি