আরো তিন পণবন্দীর লাশ হস্তান্তর করল হামাস

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সময় গাজায় ৪৮ জন ইসরাইলি পণবন্দী আটক ছিল। এর মধ্যে জীবিত ২০ জন পণবন্দীকেই হস্তান্তর করা হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

হামাস আরো তিন পণবন্দীর লাশ হস্তান্তর করেছে। রোববার (২ নভেম্বর) ইসরাইল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে চলমান বন্দী বিনিময়ের অংশ হিসেবে গাজা থেকে তারা আরো তিনজন পণবন্দীর লাশ গ্রহণ করেছে।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, অবিরাম সংঘর্ষের মধ্যেও ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি বহাল রয়েছে। যার লক্ষ্য হচ্ছে জীবিত ও নিহত সব ইসরাইলি পণবন্দীদের ফিরিয়ে দেয়া।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রেডক্রসের মাধ্যমে তিনজনের লাশ গ্রহণ করেছে ইসরাইল। লাশগুলো প্রতিরক্ষা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে পরিচয় শনাক্তের জন্য লাশগুলো শনাক্তকরণ কেন্দ্রে পাঠানো হবে।

এদিকে হামাসের সশস্ত্র শাখা জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে লাশগুলো উদ্ধার করেছে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সময় গাজায় ৪৮ জন পণবন্দী আটক ছিল। এর মধ্যে জীবিত ২০ জন পণবন্দীকেই হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ২৮ জনের লাশও তারা ফিরিয়ে দিতে শুরু করেছে।

এখন পর্যন্ত হামাস যে ১৭টি লাশ ফেরত দিয়েছে, তাদের মধ্যে ১৫ জন ইসরাইলি নাগরিক। বাকি দুজনের একজন থাইল্যান্ডের এবং অপরজন নেপালের নাগরিক।

ইসরাইলের দাবি, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে লাশগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। তবে হামাস বলছে, গাজার ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে অনেক লাশ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে, সেগুলো উদ্ধার করতে সময় লাগছে।

তারা বারবার মধ্যস্থতাকারী ও রেড ক্রসের কাছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও কর্মী সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করেছে যাতে লাশগুলো উদ্ধার করা যায়।

সূত্র : বাসস