ইসরাইলের সাথে নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে সিরিয়ার আলোচনা চলছে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছেন।
দামেস্ক থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এই চুক্তি হলে, গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের উৎখাতের পর ইসরাইল সিরিয়ার যেসব এলাকা দখল করে রেখেছে, সেসব এলাকা থেকে সরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ৮ ডিসেম্বর ইসলামপন্থী নেতৃত্বাধীন বাহিনী আসাদকে উৎখাত করার পর, ইসরাইল গোলান মালভূমিতে বাফার জোনে সৈন্য মোতায়েন করে। গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের ৩০টির বেশি বসতি রয়েছে। সেখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এসব বসতি অবৈধ।
গোলান মালভূমির যে অঞ্চলে ইসরাইল বসতি স্থাপন করছে, সেখানে ইসরাইলিদের পাশাপাশি প্রায় ২০ হাজার সিরীয় বসবাস করে। তারা মূলত দ্রুজ আরব। ইসরাইল যখন ওই অঞ্চলের দখল নেয়, তখন দ্রুজ আরবরা তাদের বসতি ছেড়ে যায়নি।
অঞ্চলটি ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর ইসরাইলি ও সিরিয়ার বাহিনীকে পৃথক করে রেখেছে। ইসরাইল সিরিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের আরো গভীরে অনুপ্রবেশ করেছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল আল-আখবারিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শারা বলেন, ‘আমরা এখন একটি নিরাপত্তা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা ও সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ইসরাইল বিশ্বাস করে, আসাদের পতনের পর সিরিয়া ১৯৭৪ সালের বিচ্ছিন্নতা চুক্তি ত্যাগ করেছে। যদিও সিরিয়া প্রথম মুহূর্ত থেকেই এই চুক্তির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছে।
শারা বলেন, এখন ৮ ডিসেম্বরের আগে ইসরাইলকে যেখানে ছিল, সেখানে ফিরে যাওয়ার জন্য একটি নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে।
ইসরাইল ও সিরিয়ার মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ১৯৪৮ সাল থেকে দেশ দুটি কার্যত যুদ্ধে লিপ্ত।
সূত্র : বাসস