যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরাইল : জাতিসঙ্ঘ

ইসরাইলি সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকা একাধিক এলাকায় প্রতিদিন আবাসিক ভবনের ক্রমাগত বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা |সংগৃহীত

জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরাইল গাজায় ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশের জন্য ১০৭টি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। যার ফলে প্রয়োজনীয় মানবিক সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘আমাদের অংশীদাররা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ কম্বল, শীতকালীন পোশাক, পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবা রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য সরঞ্জাম ও উপকরণসহ ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশের জন্য ১০৭টি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।’

তিনি বলেন, ‘এই প্রত্যাখ্যাত অনুরোধগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশই ছিল ৩৩০টিরও বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওর কাছ থেকে। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি অনুরোধ প্রত্যাখ্যানের কারণ ছিল, সংস্থাগুলো গাজায় ত্রাণ সামগ্রী আনার জন্য অনুমোদিত ছিল না।’

মানবিক-বিষয়ক সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি উল্লেখ করেছেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকা একাধিক এলাকায়, বিশেষ করে পূর্ব খান ইউনিস, পূর্ব গাজা সিটি ও রাফায় প্রতিদিন আবাসিক ভবনের ক্রমাগত বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।’

তথাকথিত ‘হলুদ রেখা’র কাছে ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটছে উল্লেখ করে জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, ‘এই সামরিক কার্যকলাপগুলো মানবাধিকার কর্মীসহ বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।’

সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড