ফিলিস্তিনিদের লাশগুলো অপেক্ষমান স্বজনদের অপেক্ষার অবসান ঘটালেও সেগুলো এখন তাদের কষ্ট আরো কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইল কিছু ফিলিস্তিনির লাশ ফেরত দিয়েছে। ফিরে পাওয়া লাশগুলো দেখার পর তাদের দুঃখ-কষ্ট আরো বেড়ে গেছে। পরিবারগুলো আশা করেছিল, প্রিয়জনদের লাশ পেলে মনে কিছুটা হলেও শান্তি আসবে। কিন্তু তারা এখন এমন ভীতিকর দৃশ্যের সম্মুখীন হচ্ছে, যা আগের শোককে আরো গভীর যন্ত্রণায় পরিণত করেছে। লাশগুলোতে কেবলই নির্যাতন ও বিকৃতির চিহ্ন, যা অসহনীয়।
রমজান নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তার ভাই আহমাদ যুদ্ধের প্রথম দিন নিখোঁজ হন। তিনি বলেন, ‘আহমাদের লাশ পাওয়ার পর বুঝতে পারি তার দেহে আগুন দেয়া হয়েছিল এবং তার শরীরে ছয়টি গুলির চিহ্ন ছিল। তার একটি পায়ের আঙুল কাটা ছিল এবং বুকের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কাটা ছিল।’ এটি ফেরত পাওয়া লাশগুলোর একটি চিত্র। এ থেকেই সার্বিক পরিস্থিতি অনুমান করা যায়।
আরেক শহীদের মা আরো হৃদয়বিদারক বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার ছেলে মাহমুদের হাত পেছন দিকে বাঁধা ছিল, পায়ের অবস্থাও একই রকম। পায়ে শিকলের গভীর দাগ ছিল। তাকে এই বাঁধা অবস্থায়ই হত্যা করা হয়েছে। তার উরুতে গুলির দাগ ছিল এবং বুকে কাঠের টুকরো পাওয়া গেছে। তার মুখ মারাত্মকভাবে বিকৃত ছিল, করোটিও ভেঙে গিয়েছিল। গলায় এমন চিহ্ন ছিল যা থেকে বোঝা যায়, তাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।’
মোটকথা ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর চরম নির্যাতন করা হয়েছে এবং নির্যাতনের মাধ্যমে তাদের হত্যা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি স্বজনদের ব্যথা ও শোককে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই



