গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে বৃহস্পতিবার মুসলিম উম্মাহকে রোজা রাখার আহ্বান

‘বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে রোজা রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করার লক্ষ্য হলো একথা বোঝানো যে, আমরা গাজাকে একা ছেড়ে দেইনি এবং ইসরাইল এখানকার বাসিন্দাদের ওপর যে দখলদারিত্ব, অনাহার, ক্ষুধা ও হত্যাযজ্ঞ চাপিয়ে দিয়েছে- এর পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন শায়খ মুহিউদ্দীন কারাদাগি
ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন শায়খ মুহিউদ্দীন কারাদাগি |আনাদোলু অ্যাজেন্সি

মজলুম গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে রোজা পালনের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বের গবেষক আলেমদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্স।

সোমবার (২৫ আগস্ট) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনের ফাঁকে আনাদোলু অ্যাজেন্সিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির সভাপতি শায়খ মুহিউদ্দীন কারাদাগি এ আহ্বান জানান।

এ সময় তিনি বলেন, মহান আল্লাহর ইবাদত হিসেবে আমরা সমগ্র বিশ্বের মুসলিম ভাইবোনদের বৃহস্পতিবার রোজা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ, বৃহস্পতিবার রোজা পালন এমনিতেই রাসূল সা:-এর সুন্নাত। পাশাপাশি এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের ক্ষুধা ও পিপাসার প্রতিও আমাদের সমবেদনা প্রকাশ পাবে।

শায়খ কারাদাগি বলেন, বৃহস্পতিবারের রোজার মাধ্যমে আমাদের বার্তা হলো- আমাদের পরিবার গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ক্ষুধা ও পিপাসার্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সুযোগ থাকলে আমরা গাজায় প্রবেশ করতাম (এবং যুদ্ধে অংশ নিতাম)। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- গাজা সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ।

২০২৪ সালের মে মাসে ইসরাইল রাফাহ দখলে নেয়ার আগে শায়খ কারাদাগি গাজায় প্রবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেও জানান। কিন্তু কয়েকটি আরব দেশের অসহযোগিতার কারণে তিনি সেখানে প্রবেশ করতে পারেননি।

শায়খ মুহিউদ্দীন কারাদাগি বলেন, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে রোজা রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করার লক্ষ্য হলো একথা বোঝানো যে, আমরা গাজাকে একা ছেড়ে দেইনি এবং ইসরাইল এখানকার বাসিন্দাদের ওপর যে দখলদারিত্ব, অনাহার, ক্ষুধা ও হত্যাযজ্ঞ চাপিয়ে দিয়েছে- এর পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ।

সূত্র : আনাদোলু অ্যাজেন্সি