ফিলিস্তিনি শিশু হিন্দ রজব, তার পরিবার ও তাদের উদ্ধারকারী প্যারামেডিকদের হত্যার সাথে জড়িত ইসরাইলি সৈন্যদের পরিচয় প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আল জাজিরা সম্প্রচারিত ‘মা-খাফিয়া আজামু’ (যা লুকায়িত, তা আরো ভয়ঙ্কর) প্রোগ্রামে তাদের পরিচয় তুলে ধরা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বিভিন্ন ভিডিও, গোপন নথি ও ডিজিটাল তথ্যের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে হিন্দ রজব পরিবারকে হত্যার সাথে জড়িত সেনাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এরা ইসরাইলি বাহিনীর ৪০১তম ব্রিগেডের অনুগত একটি সাঁজোয়া ইউনিট। তারা বাহিনীতে ‘ভ্যাম্পায়ার ইউনিট’ নামে পরিচিত।
প্রতিবেদন অনুসারে, এই ইউনিটের কমান্ডার অফিসার শন গ্লাসের নির্দেশেই গাজার তেল হাওয়া এলাকায় হিন্দ রজবের পরিবারকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই ইউনিটের সদস্যরা নিজেদেরকে ‘দানব’ ও ‘রক্তখেকো’ পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে কেবল নির্দেশদাতা কমান্ডারকেই চিহ্নিত করা হয়নি। বরং অন্য অফিসারদেরকেও শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্রিগেড কমান্ডার বেনি আহারন, ২২তম ব্যাটালিয়ন -যারা হিব্রুতে হ্যাপোকিম (দ্য রাইডার্স) নামে পরিচিত- কমান্ডার কর্নেল ড্যানিয়েল ছিলেন। এছাড়া আরো কয়েক ডজন সৈন্য রয়েছে, যাদের পরিচয় স্যাটেলাইট চিত্র, অডিও ক্লিপ ও ফাঁস হওয়া তথ্যের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছিল।
প্রোগ্রামে এই অপরাধে জড়িত এক সৈনিকের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। তার নাম ইতাই শুকার কোভ। তার ইসরাইল ও আর্জেন্টিনার দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।
তদন্তে জানা গেছে, হিন্দ রজব হত্যার সাথে জড়িত নেটওয়ার্ক গাজার বৃহত্তর অভিযানের সাথেও যুক্ত ছিল; এর মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পস ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারাও রয়েছে।
এই ঘটনা মূলহোতার হলেন ইসরাইলি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পসের শিমন জুকারম্যান, যার বিরুদ্ধে খান ইউনিসের পূর্বে খুজা'আ শহরের আবাসিক এলাকায় বোমা হামলার অভিযোগ রয়েছে। পরে জানা যায় যে তার জার্মান নাগরিকত্ব রয়েছে এবং হিন্দ রজব ফাউন্ডেশন ঘোষণা করেছে যে তারা জার্মানিতে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
সূত্র : আল জাজিরা



