ভেনেজুয়েলার মাদুরোকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান এরদোগানের

মাদুরোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে বাড়তে থাকার আশঙ্কার মধ্যে ওয়াশিংটনের সাথে ‘আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার’ আহ্বান জানান এরদোগান।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ভেনেজুয়েলার মাদুরোকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান এরদোগানের
ভেনেজুয়েলার মাদুরোকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান এরদোগানের |বাসস

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিব এরদোগান শনিবার ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সাথে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি মাদুরোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে বাড়তে থাকার আশঙ্কার মধ্যে ওয়াশিংটনের সাথে ‘আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার’ আহ্বান জানান।

এরদোগান তাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে সংলাপের পথ খোলা রাখা গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ‘আলাপ আলোচনা মাধ্যমে এই উত্তেজনা যত দ্রুত সম্ভব কমে যাবে।’

তার কার্যালয় থেকে এক এক্স-এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

এরদোগান বলেন, তুরস্ক অঞ্চলটির পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং তার দেশ বিশ্বাস করে যে ‘সংলাপের মাধ্যমেই সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব।’

এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কারাকাসের সাথে কয়েক মাসের উত্তেজনার পর ভেনেজুয়েলা নিয়ে আলোচনা করতে তার শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশ করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট মাদুরোর বিরুদ্ধে একটি মাদক চক্রের নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ এনেছেন। যদিও ভেনেজুয়েলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ওয়াশিংটন ক্যারিবীয় অঞ্চলে বড় ধরনের নৌবাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে কারাকাসের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। যেখানে মাদক পাচারের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ থাকা নৌযান লক্ষ্য করে ২০টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ওইসব হামালয় অন্তত ৮৭ জন নিহত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এসব হামলার সাথে মাদক পাচারের কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।

গত মাসে ওয়াশিংটন বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী এবং যুদ্ধজাহাজের একটি বহরসহ ক্যারিবীয় অঞ্চলে পাঠায়, যার ফলে ভেনেজুয়েলার সাথে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং ওয়াশিংটন মাদক পাচার রোধে ভেনেজুয়েলার ব্যর্থতার কারণ দেখিয়ে দেশটির আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করে, যা এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করার একটি বড় পদক্ষেপ।

তুরস্কের সাথে ভেনেজুয়েলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। মাদুরোর প্রতি সমর্থন জানাতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এরদোগান দেশটি সফর করেন। ওয়াশিংটন ও ইউরোপের কয়েকটি দেশ ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ভেনেজুয়েলীয় নেতার পুনর্নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

বিভিন্ন মার্কিন কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি মাদুরো ক্ষমতাচ্যুত হন, তবে তিনি তুরস্কে আশ্রয় নিতে পারেন।

সূত্র : এএফপি/বাসস