আনসারুল্লাহ বলছে, রাজধানী সানায় ইয়েমেনি কর্মকর্তাদের উপর অবৈধ শাসক গোষ্ঠীর সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের উপর গণহত্যার প্রতিশোধ হিসেবে প্রতিরোধ আন্দোলন ইসরাইলের জন্য ‘প্রকৃত‘ বিস্ময়কর কিছু তৈরি করছে।
সোমবার লেবাননের আল-মায়াদিন সংবাদমাধ্যম আনসারুল্লাহর রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ধাইফাল্লাহ আল-শামিকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘আমাদের কাছে এমন কিছু সত্যিকারের বিস্ময় আছে যা বন্ধু বা শত্রু কেউই আশা করতে পারে না, এবং আমাদের সামরিক মজুদের মধ্যে প্রচুর ক্ষমতা রয়েছে।’
শামি জোর দিয়ে বলেছেন, যদি আনসারুল্লাহর আরো সম্পদ থাকতো, তাহলে তারা সমুদ্র পার হয়ে ফিলিস্তিনি ফ্রন্টে যোগ দিতে পারতো। ইয়েমেনি সেনাবাহিনী ইসরাইলি অধিকৃত অঞ্চলে ড্রোন হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পরেই এই বিবৃতি দেয়া হয়, যার মধ্যে বেশ কিছু ড্রোন ইসরাইল আটক করেছে বলে তেল আবিব দাবি করেছে। ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীও সোমবার ঘোষণা করেছে যে তারা লোহিত সাগর উপকূলে একটি ইসরাইলি জাহাজে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি টেলিভিশনে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, উত্তর লোহিত সাগরে ইসরাইলি তেল ট্যাংকার স্কারলেট-কে লক্ষ্য করে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। সানা জোর দিয়ে বলেছে, অভিযানের ফলে জাহাজটি সরাসরি আঘাত হেনেছে এবং সফলভাবে তার লক্ষ্য অর্জন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের রাজধানীতে ইসরাইলি বিমান হামলায় ন্যাশনাল গভর্নমেন্ট অফ চেঞ্জ অ্যান্ড কনস্ট্রাকশনের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ গালেব আল-রাহাভি এবং আরো আটজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
আনসারুল্লাহ আন্দোলনের নেতা আব্দুল মালিক আল-হুধি নিহতদেরকে ‘সমস্ত ইয়েমেনের শহীদ‘ বলে প্রশংসা করেছেন এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের ‘বর্বরতার‘ নিন্দা জানিয়েছেন।
সূত্র : পার্সটুডে