কাতারে গত ৯ সেপ্টেম্বর ইসরাইলের বিমান হামলার পর উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) সদস্যরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) যৌথ নিরাপত্তা জোরদারে ব্যবস্থা নিতে সম্মত হয়েছেন।
এক যৌথ বিবৃতিতে উপসাগরীয় যৌথ প্রতিরক্ষা পরিষদ জানিয়েছে, সদস্যরা একীভূত সামরিক কমান্ডের মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্যবিনিময় বাড়াতে, আঞ্চলিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করতে এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পূর্বসতর্কতা ব্যবস্থা দ্রুততর করতে সম্মত হয়েছে।
দোহায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রীরা যৌথ প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার হালনাগাদ, তিন মাসের মধ্যে যৌথ আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মহড়া এবং একটি বৃহৎ আকারের বিমান মহড়া পরিচালনার বিষয়েও অনুমোদন দিয়েছেন। এছাড়াও ‘যেকোন সম্ভাব্য হুমকি বা আগ্রাসনের ঘটনা’ মোকাবেলায় জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরো ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।
কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ সৌদ বিন আবদুর রহমান আল থানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি অধিবেশনে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব ও ওমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যৌথ প্রতিরক্ষা পরিষদ দোহায় ইসরাইলের ‘এই বিপজ্জনক সামরিক আক্রমণের তীব্র নিন্দা’ জানিয়েছে এবং একে ‘আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসঙ্ঘ সনদের ভয়াবহ লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে।
এতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, কাতারের ওপর আক্রমণ করার অর্থ ‘জিসিসির সব রাষ্ট্রের ওপর আক্রমণ’। সদস্যরাষ্ট্রের মন্ত্রীরা দোহার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য যেকোনো পদক্ষেপের প্রতি সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একইসাথে তারা সতর্ক করে দিয়েছেন, এই হামলা গাজায় যুদ্ধবিরতিতে কাতারের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টাকেও দুর্বল করে দিয়েছে।
সূত্র : আনাদোলু অ্যাজেন্সি