হামাসের ফেরত দেয়া ৩ পণবন্দীর লাশ শনাক্ত করল ইসরাইল

ফরেনসিক পরীক্ষা শেষে জানা গেছে লাশগুলো ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কর্নেল আসাফ হামামী (৪০), ক্যাপ্টেন ওমের নিউট্রা (২১) ও স্টাফ সার্জেন্ট ওজ ড্যানিয়েলের (১৯)।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
নিহত তিন ইসরাইলি পণবন্দী
নিহত তিন ইসরাইলি পণবন্দী |সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ফেরত দেয়া তিন পণবন্দীর লাশ শনাক্ত করেছে ইসরাইল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় সোমবার (৩ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডস জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গপথের ধারে তারা এই তিনটি লাশ খুঁজে পায় এবং রোববার রাতে সেগুলো রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে।

ইসরাইলি বাহিনী গাজায় লাশগুলো গ্রহণ করে সেগুলো শনাক্তকরণের জন্য তেল আবিবের ন্যাশনাল সেন্টার অব ফরেনসিক মেডিসিনে পাঠায়।

আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, ফরেনসিক পরীক্ষা শেষে জানা গেছে লাশগুলো ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কর্নেল আসাফ হামামী (৪০), ক্যাপ্টেন ওমের নিউট্রা (২১) ও স্টাফ সার্জেন্ট ওজ ড্যানিয়েলের (১৯)।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, তিন সন্তানের বাবা কর্নেল হামামী ছিলেন আইডিএফ গাজা ডিভিশনের সাউদার্ন ব্রিগেডের কমান্ডার। ৭ অক্টোবর ২০২৩ হামাসের আক্রমণের পর তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রথম পৌঁছানো সৈন্যদের একজন ছিলেন এবং সবার আগে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। কিবুত্জ নিরিমের কাছে লড়াইয়ে তিনি নিহত হন এবং হামাস তার লাশ গাজায় নিয়ে যায়।

ক্যাপ্টেন নিউট্রা ইসরাইলি-মার্কিন দ্বৈত নাগরিক এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন। পরে ইসরাইলে অভিবাসন করে আইডিএফের সপ্তম ব্রিগেডে প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি গাজা সীমান্তের কাছে যুদ্ধাবস্থায় নিহত হন।

স্টাফ সার্জেন্ট ড্যানিয়েলও আইডিএফের সপ্তম ব্রিগেডে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গাজা সীমান্তের কাছে হামাস বন্দুকধারীদের সাথে যুদ্ধের সময় তিনি নিহত হন।

লাশ হস্তান্তরের ধীরগতির কারণে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে এসেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেমন- গাজা শাসনব্যবস্থা, ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার, হামাস নিরস্ত্রীকরণ ও দুই বছরের বিধ্বস্ত যুদ্ধপরবর্তী পুনর্গঠন এখনো এগোয়নি।

যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, হামাস সব পণবন্দীকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়েছিল। ১৩ অক্টোবর সব জীবিত ইসরাইলি পণবন্দীকে মুক্তি দেয়ার বিনিময়ে ইসরাইল ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দী ও গাজা থেকে আটক এক হাজার ৭১৮ জনকে মুক্তি দেয়।

এখন পর্যন্ত ইসরাইল ১৮ ইসরাইলি পণবন্দী ও দুই বিদেশী (একজন থাই, একজন নেপালী) নিহত বন্দীর লাশের বিনিময়ে ২২৫ জন ফিলিস্তিনির লাশ হস্তান্তর করেছে।

ইসরাইলের দাবি, গাজায় এখনো আটজন পণবন্দীর লাশ রয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জন ইসরাইলি, একজন তানজানিয়ান ও একজন থাই নাগরিক।

সূত্র : বিবিসি