ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ দ্রুতই শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে মূল বিষয়গুলো এখনো সমাধান করা হয়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে ইসরাইলকে গাজা থেকে আরো সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন প্রতিষ্ঠা এবং একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। এছাড়াও হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে এবং সাংগঠনিক পুনর্গঠন কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় নেতানিয়াহু বলেন, পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে কিভাবে পৌঁছানো যায় তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি মাসের শেষে ট্রাম্পের সাথে আলোচনা করবেন। সোমবার ইসরাইলি সরকারের একজন মুখপাত্র ঘোষণা করেছেন যে বৈঠকটি ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার জেরুসালেমে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের সাথে দেখা করার পর নেতানিয়াহু পুনর্ব্যক্ত করেন, গাজায় হামাসের শাসনের অবসান ঘটাতে হবে এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে তাদের অস্ত্র ত্যাগ করার এবং উপত্যকাকে নিরস্ত্রীকরণের ‘প্রতিশ্রুতি’ পালন করতে হবে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সাথে কথা বলতে গিয়ে হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেন, গোষ্ঠীটি তাদের অস্ত্র ভাণ্ডার ‘মজুত’ করার বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। যা সামনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয়গুলোর মধ্যে একটির সম্ভাব্য সমাধান।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য নাইম কাতারে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আরো উত্তেজনা এড়াতে বা আরো সংঘর্ষ বা বিস্ফোরণ এড়াতে আমরা একটি বিস্তৃত পদ্ধতি গ্রহণের জন্য উন্মুক্ত।’
এদিকে গাজা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দুই মাস পরও উভয় পক্ষই প্রায় প্রতিদিনই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে। গাজা উপত্যকার অর্ধেকেরও বেশি এখনো ইসরাইলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামাস বাকি ভূখণ্ডে নিজেদের পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে।
সূত্র : বিবিসি



