মার্কিন বুদ্ধিজীবী ও একাডেমিক ব্যক্তিত্ব নিউইয়র্ক সিটির সদ্য নির্বাচিত মেয়দ জোহরান মামদানির বাবা মাহমুদ মামদানি বলেছেন, গাজাকে ইসরাইল সমরাস্ত্র পরীক্ষার ক্ষেত্র বানিয়েছে। সেখানে তারা বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এরপর সেসব অস্ত্র অন্যান্য দেশে রফতানি করেছে।
তিনি আরো বলেন, এসব পরীক্ষায় বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। কিন্তু এর জন্য তাকে কোনো জবাবদিহিতা করতে হয়নি।
‘এর পক্ষে সাফাই গেয়ে তারা বরং বলে গেছে, এসব পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের আত্মরক্ষা নিশ্চিত করেছে। আর এতেই পশ্চিমা বিশ্ব তাদের অপরাধকে মেনে নিয়েছে। চুপ করে থেকেছে গোটা বিশ্ব।’
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ইসরাইল একটি আগ্রাসী শক্তি। এদের মধ্যে কোনো মানবতা নেই। তারা গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, এটিকে আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ বলার সুযোগ নেই। যদিও এমনটিই তারা ও তাদের মিত্ররা দাবি করে। কিন্তু তাদের ওই কথা কেউ বিশ্বাস করে না।
সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, বিশ্ব ইসরাইলকে জবাবদিহিতার কাঠগড়ায় দাঁড় করায় না। এটা এজন্য নয় যে তাদের সাথে ক্ষমতায় পেরে উঠবে না। বরং এজন্য যে তারা তাদের নৈতিকতাকে একটি কল্পিত মিথের উপর দাঁড় করিয়েছে। তারা দাবি করে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও হলোকাস্টের সময় নির্মমতার শিকার হয়েছে। সেজন্য তারা আত্মরক্ষার্থে এসব কার্যক্রম চালিয়ে থাকে।
জোহরান মামদানির বাবা বলেন, কিন্তু এখন সেই কল্পিত মিথ ভেঙে গেছে। মানুষ সত্য জেনে গেছে। গাজায় তারা যে নৃশংসতা চালিয়েছে, এর মধ্য দিয়ে সব স্পষ্ট হয়ে গেছে।
সূত্র : আল জাজিরা



