ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল জানিয়েছে, আল উদেইদ নামে মার্কিন যে ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেটি কাতারের আবাসিক এলাকা থেকে দূরে। এ হামলা ভ্রাতৃপ্রতিম কাতারের বিপক্ষে নয়।
গতরাতে কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সি জানায়, ‘বিশারাত ফাতেহ’ এবং ‘ইয়া আবা আবদুল্লাহ’ নামে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
এসব হামলায় একাধিক ওয়ারহেড বা ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম খাইবার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে। হামলার বিষয়ে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, ‘বাশারাত ফাতেহ’ অপারেশনে কাতারের উদেইদ ঘাঁটিকে ‘বিধ্বংসী এবং শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু’ করে হামলা হয়েছে।
ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই সফল অভিযানে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলায় যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ বোমা ব্যবহার করেছিল তার সমান ছিল। শক্তিশালী ইরানি বাহিনীর হামলায় যে ঘাঁটিটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল তা কাতারের নগর স্থাপনা এবং আবাসিক এলাকা থেকে অনেক দূরে ছিল।’
অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তবে কোনো কোনো গণমাধ্যম ১০টি ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপের কথা বলেছে। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে বলেছেন, ইরান তাদের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের প্রতিক্রিয়া খুবই দুর্বলভাবে দিয়েছে। তারা ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার ১৩টি ‘ধ্বংস’ করা হয়েছে এবং আরেকটি অন্যদিকে চলে গেছে।
এ হামলার পর পর কাতার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে এটি তাদের ভৌগলিক অখণ্ডতার সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। কাতার হামলার জবাব দেয়ার অধিকার রাখে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় দেশটি।
কাতারের এমন হুঁশিয়ারির পর ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল জানিয়েছে, আল উদেইদ নামে মার্কিন যে ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেটি কাতারের আবাসিক এলাকা থেকে দূরে।
তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই হামলা বন্ধু ও ভ্রাতৃপ্রতিম কাতারের জন্য কোনো হুমকি নয়। তাদের নাগরিকদের জন্যও এটি কোনো হুমকি নয়। ইরান কাতারের সঙ্গে উষ্ণ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।”