পশ্চিমতীরের মসজিদে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলা

বৃহস্পতিবার পশ্চিমতীরের উত্তরে সালফিতের কাছে দেইর ইস্তিয়া গ্রামের হাজ্জা হামিদা মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয় ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হাজ্জা হামিদা মসজিদ
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হাজ্জা হামিদা মসজিদ |সংগৃহীত

অধিকৃত পশ্চিমতীরে একটি মসজিদে আগুন দিয়েছে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা। ইসরাইলের দখলে থাকা অঞ্চলটিতে ফিলিস্তিনিদের ওপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যেই এ ঘটনা ঘটেছে। এতে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোরের দিকে পশ্চিমতীরের উত্তরে সালফিতের কাছে দেইর ইস্তিয়া গ্রামের হাজ্জা হামিদা মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয় ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা।

ঘটনাস্থল থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, মসজিদের দেয়ালে বর্ণবাদী ও ফিলিস্তিনিবিরোধী স্লোগান লেখা হয়েছে। মসজিদটি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় পবিত্র কোরআন শরিফের কপিও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

ফিলিস্তিনের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় একে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। এ ঘটনা দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের পবিত্র স্থানগুলোতে ইসরাইলের ‘বর্বরতার’ চিত্র প্রকাশ করেছে।

এদিকে, বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পশ্চিমতীরের দক্ষিণাঞ্চলে হেবরনের কাছে বেইত উম্মার শহরে অভিযানের সময় ইসরাইলি বাহিনী গুলি চালালে দুই ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়।

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত পশ্চিমতীরজুড়ে রেকর্ড সংখ্যক ফিলিস্তিনির ওপর ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী ও সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এসব হামলার অধিকাংশই ২০২৫ সালের জলপাই ফসলের প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের মানবিক সংস্থা (ওসিএইচএ) এই সপ্তাহের সর্বশেষ আপডেটে জানিয়েছে, ১ অক্টোবর থেকে জলপাই ফসলের সাথে সম্পর্কিত কমপক্ষে ১৬৭টি বসতি স্থাপনকারীর আক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এই আক্রমণে ১৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন, এবং পাঁচ হাজার ৭০০টিরও বেশি গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উগ্র ডানপন্থী সরকারের সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে এই এলাকাটি দখলের জন্য চাপ দিচ্ছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, ইসরাইল ইতোমধ্যেই পশ্চিমতীরে তাদের দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে।

এর আগে, জুলাই মাসে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার অফিস সতর্ক করে দিয়েছিল, বসতি স্থাপনকারীদের ওপর সহিংসতা ‘ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর সম্মতি, সমর্থন ও কিছু ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের মাধ্যমে’ পরিচালিত হচ্ছে।

সূত্র : আল জাজিরা