চীনের কারখানাগুলোতে অক্টোবরে টানা সপ্তম মাসের মতো উৎপাদন কার্যক্রম কমেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের আগে বাণিজ্য অনিশ্চয়তা দেশটির ওপর প্রভাব ফেলেছে। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) চীনের সরকারি নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, চীনের শিল্প ও উৎপাদন খাতের গুরুত্বপূর্ণ সূচক ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই)। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর (এনবিএস) তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে সূচকটি ৪৯ শতাংশে নেমে এসেছে। যা আবারো উৎপাদন কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ব্লুমবার্গের জরিপে এই সূচকটির পূর্বাভাস ছিল ৪৯.৬ শতাংশ। তবে অক্টোবরের হার তার চেয়ে কম। এই রেকর্ড সেপ্টেম্বরের তুলনায় ০.৮ শতাংশ কম।
এনবিএস পরিসংখ্যানবিদ হুও লিহুই এক বিবৃতিতে বলেন, অক্টোবর মাসে মূলত ‘আন্তর্জাতিক জটিল সমীকরণের কারণে’ উৎপাদন ধীরগতিতে হয়েছে। মাসের শুরুতে চীনের ‘গোল্ডেন উইক’ দিবসের ছুটির কারণেও কারখানা কার্যক্রম কিছুটা মন্থর হয়ে পড়ে। তবে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উৎপাদন স্থিতিশীল রয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।
এপ্রিল মাসে পিএমআই সূচক ছিল ৪৯ শতাংশ, যা চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। আর তখন থেকেই উৎপাদন কমতে থাকে। কারখানাগুলো যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে।
এর মধ্যেই গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্বের প্রধান দুই অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ নেতারা দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠক করেন। বৈঠকের পর ট্রাম্প ঘোষণা করেন, চীনের পণ্যের ওপর শুল্ক ১০ শতাংশ কমানো হবে।
অন্যদিকে শি এক বছরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিরল খনিজের ওপর কিছু রফতানি নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করতে সম্মত হয়েছেন। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীন সয়াবিন আমদানি শুরু করবে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে উৎপাদন-বহির্ভূত পিএমআই ৫০.১ শতাংশে পৌঁছেছে। যা সেপ্টেম্বরের ৫০ শতাংশের তুলনায় সামান্য বেশি। অক্টোবরে এই হার ব্লুমবার্গের পূর্বাভাসের সাথেও মিলে গেছে।
উৎপাদন-বহির্ভূত বা নন-ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআই সূচকটি সেবা, নির্মাণসহ অন্যান্য খাতের কার্যক্রম পরিমাপে ব্যবহার করা হয়।
সূত্র : বাসস



