যান চলাচলের জন্য বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতু উন্মুক্ত করল চীন

গত কয়েক দশক ধরে চীন দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও নগরায়নের অংশ হিসেবে বৃহৎ অবকাঠামো খাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। বিশেষত গুইঝো প্রদেশে হাজার হাজার সেতু নির্মিত হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সেতু
হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সেতু |সংগৃহীত

বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতুটি রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেছে চীন। এর মাধ্যমে একই প্রদেশের আরেকটি সেতুকে পেছনে ফেলে নতুন রেকর্ড গড়ল দেশটি।

বেইজিং থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সেতুটি একটি নদী ও বিশাল গিরিখাদের উপর ৬২৫ মিটার (২০৫১ ফুট) উঁচুতে দাঁড়িয়ে আছে। এটি চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় পার্বত্য প্রদেশ গুইঝোতে অবস্থিত। ওই প্রদেশেই ৫৬৫ মিটার উচ্চতার বেইপানজিয়াং সেতুটি এর আগে বিশ্বের সর্বোচ্চ ছিল। এখন সেটি দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে রোববার সম্প্রচারিত সরাসরি ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, নীল রঙের বিশাল সাপোর্ট টাওয়ারগুলো মেঘে ঢাকা অবস্থায় রয়ছে, তার মধ্য দিয়েই যানবাহনগুলো সেতুটি অতিক্রম করছে।

সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রকল্পের প্রকৌশলী ও স্থানীয় কর্মকর্তাসহ বহু মানুষ ভিড় জমায়। তারা লাইভ সাক্ষাৎকারে নিজেদের গর্ব ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

এর আগে, বুধবার প্রাদেশিক পরিবহন দফতরের প্রধান ঝাং ইয়িন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সেতুর উদ্বোধনের মাধ্যমে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাওয়ার সময় দুই ঘণ্টা থেকে মাত্র দুই মিনিটে নেমে এসেছে।

তিনি আরো বলেন, এর উদ্বোধন আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাবে এবং এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নতুন গতি সঞ্চার করবে।

গত কয়েক দশক ধরে চীন দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও নগরায়নের অংশ হিসেবে বৃহৎ অবকাঠামো খাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। বিশেষত গুইঝো প্রদেশে হাজার হাজার সেতু নির্মিত হয়েছে। যার মধ্যে এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ দুটি সেতুই রয়েছে।

রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানায়, বিশ্বের সর্বোচ্চ ১০০ সেতুর প্রায় অর্ধেকই এ প্রদেশে অবস্থিত।

সিনহুয়া আরো জানায়, হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সেতুটি নির্মাণে তিন বছরের বেশি সময় লেগেছে। এর মূল স্প্যান ১৪২০ মিটার, যা এটিকে পাহাড়ি অঞ্চলে নির্মিত বিশ্বের দীর্ঘতম স্প্যানের সেতু হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

সূত্র : বাসস