বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় সুপার টাইফুন রাগাসা বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) হংকংয়ে প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি নিয়ে আঘাত হেনেছে। এদিকে এর প্রভাবে তাইওয়ানে ভারী বৃষ্টিতে ও আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাগাসার প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতে তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলে হুয়ালিয়েন কাউন্টিতে একটি হ্রদের পানি উপচে পড়ে শহরের ভেতরে ঢুকে গেছে। বুধবার তাইওয়ানের দমকল বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। সোমবার থেকে তাইওয়ানে রাগাসার প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
হংকংয়ে বুধবার পূর্ব ও দক্ষিণ উপকূলের কিছু অংশে বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ে। ফলে বাড়িঘরের পাশাপাশি কিছু রাস্তা তলিয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি হোটেলে সমুদ্রের পানি কাঁচের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে রাগাসা আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শহরের সবচেয়ে কাছে পৌঁছাবে। ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল থেকে এটি প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।
হংকং সরকার টাইফুন সিগন্যাল ১০ জারি করেছে, যা সর্বোচ্চ সতর্কতা। বন্ধ রাখা হয়েছে ব্যবসা ও গণপরিবহন সেবা। ৪৯টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে, যেখানে কমপক্ষে ৭২৭ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
চীনের গুয়াংডং প্রদেশের উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং এর তীব্রতা নিয়েই এটি দুপুর থেকে স্থলভাগে আঘাত হানা শুরু করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গুয়াংডং প্রদেশে ১২৫ মিলিয়নেরও বেশি লোক বাস করে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক সিসিটিভি জানিয়েছে, গুয়াংডংয়ে ৭ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। স্কুল ও উচ্চগতির রেলসহ পরিবহন পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে গুয়াংজু ও শেনজেনের বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স