থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন রাজকীয় অবমাননার মামলায় রায়ের মুখোমুখি

থাকসিনের আইনজীবী উইনিয়াত চ্যাটমন্ট্রি আদালতে পৌঁছানোর সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এই লড়াইয়ে আত্মবিশ্বাসী।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
থাকসিন সিনাওয়াত্রা
থাকসিন সিনাওয়াত্রা |সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা আজ শুক্রবার একটি রাজকীয় অবমাননার মামলায় তার ভাগ্য নির্ধারণের জন্য আদালতের রায়ের মুখোমুখি হচ্ছেন।

৭৬ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ যদি থাইল্যান্ডের কঠোর লেস-ম্যাজেস্ট আইন লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন, যা রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ও তার পরিবারের প্রায় যে কোনো সমালোচনাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে, তাহলে ব্যাংককের আদালত তাকে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিতে পারে।

থাকসিনের মেয়ে পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করা হবে কি-না, তা আরেকটি আদালতের রায় ঘোষণার এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে এই রায় ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

যদি উভয় রায়ই তাদের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে থাই রাজনীতির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হবে, যা ২০ বছর ধরে তিন জন সিনাওয়াত্রার প্রধানমন্ত্রী থাকার পর পরিবারের উচ্চ পদে থাকার অবসান ঘটাবে।

থাকসিনের আইনজীবী উইনিয়াত চ্যাটমন্ট্রি আদালতে পৌঁছানোর সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এই লড়াইয়ে আত্মবিশ্বাসী।’

তিনি বলেন, ‘যদি রায় আমাদের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে আমরা আপিল প্রক্রিয়ায় আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।’

আদালতের বাইরে থাকসিনের সমর্থনে প্রায় ১০ জনের একটি লাল পোশাক পরে জড়ো হয়েছে।

৬২ বছর বয়সী চুতিমা জাইরাক বলেন, ‘থাই ইতিহাসে, কেউ থাকসিনের মতো ভালো ছিল না। থাকসিন দরিদ্র মানুষের উন্নয়ন করেছিলেন, তাই আমি তারপ্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’

থাকসিন গত মাসে নিজের আত্মপক্ষ সমর্থনে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই মামলাটি দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমে তার বোন ইংলাককে উৎখাত করে ২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের বিষয়ে এক দশকের পুরনো মন্তব্যের ভিত্তিতে তৈরি।

বার্তাসংস্থা থাকসিনের মন্তব্য বিস্তারিতভাবে জানাতে পারছে না। কারণ লেস-ম্যাজেস্ট আইন এতটাই কঠোর যে তা করা নিজেই একটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।

সূত্র : বাসস