চীনকে মোকাবেলায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেট ঘোষণা তাইওয়ানের

তাইওয়ান সরকার আগামী কয়েক বছরে প্রতিরক্ষা খাতে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের প্রস্তাব করবে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে |সংগৃহীত

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে ঘোষণা করেছেন, তার সরকার আগামী কয়েক বছরে প্রতিরক্ষা খাতে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের প্রস্তাব করবে। চীনের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে এ উদ্যোগ নিচ্ছে তাইওয়ান।

তাইপেই থেকে এএফপি জানিয়েছে, গত এক দশকে চীনের সামরিক চাপ বাড়ায় তাইওয়ান প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়েছে। তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তাইওয়ানকে আরো বেশি আত্মরক্ষার প্রস্তুতি নিতে চাপ দিচ্ছে।

লাই বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন অস্ত্র কেনার পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে এই ব্যয় হবে। আমরা প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে চাই। যাতে বেইজিং সামরিক পদক্ষেপের আগে বেশি খরচ ও অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।’

চীন কখনো তাইওয়ান শাসন করেনি। তবে, বেইজিং দ্বীপটিকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে এবং এটি দখল করার হুমকি দিয়ে আসছে।

এই ঘোষণাটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন টোকিও ও বেইজিং কয়েক সপ্তাহ ধরে কূটনৈতিক বিরোধে জড়িয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি সম্প্রতি মন্তব্য করেন, তাইওয়ানের ওপর হামলা হলে জাপান সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে।

এদিকে চলতি মাসে তাইওয়ানের কাছে ৩৩০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক যন্ত্রাংশ ও উপকরণ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) নেতা লাই আগেই পরিকল্পনা দিয়েছিলেন, আগামী বছর প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির তিন শতাংশের বেশি করা হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে পাঁচ শতাংশে উন্নীত করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের চাপেই এ পরিকল্পনা করা হয়েছে।

লাই আরো জানান, তিনি দ্রুত ‘টি-ডোম’ নামে বহুস্তর বিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন। এই ব্যবস্থা প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের শক্তিতে তাইওয়ানকে আরো নিরাপদ ও অভেদ্য করে তুলবে।

তিনি বলেন, ‘আমার বক্তব্য স্পষ্ট। শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় তাইওয়ান দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় আমাদের চেয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আর কোনো দেশ হবে না।’

তবে প্রস্তাবিত এ ব্যয় সংসদে অনুমোদন পেতে সরকারকে লড়াই করতে হতে পারে। কারণ, চীন ঘনিষ্ঠ প্রধান বিরোধী দল কুওমিনতাং পার্টি ও তাইওয়ান পিপলস পার্টি বাজেট সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে।

সম্প্রতি নির্বাচিত কুওমিনতাং পার্টির চেয়ারপার্সন চেং লি-উন এর আগে লাই-এর প্রতিরক্ষা ব্যয়ের পরিকল্পনার বিরোধিতা করে বলেছিলেন, তাইওয়ানের ‘এত টাকা নেই’।

সূত্র ‍: বাসস