দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসিকিউটররা সোমবার (১০ নভেম্বর) সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে শত্রুকে সহায়তা করার নতুন অভিযোগ দায়ের করেছে। তাদের অভিযোগ, তিনি সামরিক আইন ঘোষণার প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য উত্তর কোরিয়ার ওপর ড্রোন উড়ানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
গত বছর উত্তর কোরিয়া বলেছিল, দক্ষিণ কোরিয়া যে তাদের রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের ওপর প্রচারণামূলক লিফলেট ছুঁড়ে ফেলার লক্ষ্যে ড্রোন উড়িয়েছে, এটি প্রমাণিত হয়েছে। তবে সিউলের সামরিক বাহিনী সে সময় তা নিশ্চিত করেনি।
সিউল থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইউনের ড্রোন পাঠানোর বিষয়টি উত্তর কোরিয়াকে উত্তেজিত করার ও সামরিক শাসন ঘোষণার অজুহাত হিসেবে তার প্রতিক্রিয়া ব্যবহার করার একটি অবৈধ প্রচেষ্টা ছিল কি না তা পরীক্ষা করার জন্য প্রসিকিউটররা এই বছর একটি বিশেষ তদন্ত শুরু করেছেন।
প্রসিকিউটর পার্ক জি-ইয়ং সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, বিশেষ পরামর্শ দল সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে শত্রুকে সুবিধা প্রদান ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ দায়ের করেছে।
তিনি বলেন, ইউন ও অন্যরা এমন পরিস্থিতি তৈরি করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন, যা জরুরি সামরিক আইন ঘোষণার সুযোগ করে দেবে। যার ফলে আন্তঃকোরীয় সশস্ত্র সংঘর্ষের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং জনসাধারণের সামরিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি আরো বলেন, গত বছরের অক্টোবরে ইউনের সাবেক গোয়েন্দা কমান্ডারের লেখা একটি স্মারকলিপিতে জোরালো প্রমাণ পাওয়া গেছে যে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে বা উদ্ভূত সুযোগ কাজে লাগাতে ইউন চাপ দেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে বেসামরিক শাসন উৎখাতের চেষ্টা করে ইউন দক্ষিণ কোরিয়াকে রাজনৈতিক সংকটে ফেলেন। তিনি তার সামরিক আইন ঘোষণার বিরুদ্ধে আইনপ্রণেতাদের ভোট দেয়া বন্ধ করার জন্য সংসদে সশস্ত্র সৈন্যও পাঠিয়েছিলেন।
তবে তার সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, এবং অবশেষে জানুয়ারিতে এক অভিযানে ইউনকে আটক করা হয়। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট যাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়।
পরে এপ্রিল মাসে তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হয় এবং জুন মাসে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ভোটাররা লি জে মিউং-কে তার স্থলাভিষিক্ত করে। বিদ্রোহ ও সামরিক আইন ঘোষণার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য অপরাধের জন্য ইউন এখনো বিচারাধীন রয়েছেন।
সূত্র : বাসস



