ইন্দোনেশিয়ার বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১৯

ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছয়টি স্থানে কমপক্ষে ২৪ জন নিখোঁজ রয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) একজন উদ্ধার কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখনো বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে।

উত্তর সুমাত্রা কয়েকদিন ধরে প্রতিকূল আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত। যার ফলে প্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে।

জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার কর্মকর্তা এমি ফ্রিজার এএফপিকে বলেছেন, আজ সকালে এখন পর্যন্ত কোনো নতুন খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছয়টি স্থানে কমপক্ষে ২৪ জন নিখোঁজ রয়েছে।

তিনি আরো বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এবং এর পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ ও বিদ্যুৎ পরিষেবাও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত স্থানগুলোতে পৌঁছাতে ও সহায়তা প্রদানের জন্য ধ্বংসাবশেষ অপসারণের দিকে মনোনিবেশ করছে।

স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে পার্শ্ববর্তী আচেহ প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায় এক হাজার ৫০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎসংস্থা পেরুসাহান লিস্ট্রিক নেগারা বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আকস্মিক বন্যায় একটি ট্রান্সমিশন টাওয়ার ধসে পড়ার পর, ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে বাড়িগুলোতে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য তারা কর্মী মোতায়েন করেছে।

এদিকে আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূ-পদার্থবিদ্যা সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছে, বুধবার সেনিয়ার নামে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে। যা আগামী দিনে এই অঞ্চলে আরো তীব্র আবহাওয়া বয়ে আনতে পারে।

চলতি মাসে জাভার মধ্যাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে কমপক্ষে ৩৮ জন মারা গেছেন এবং প্রায় ১৩ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

সূত্র : বাসস