ফিলিপাইনে ঝড়ের আশঙ্কায় উপকূল ছাড়ছে স্থানীয়রা

ফিলিপাইনের ক্যাটানডুয়ানেস দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় ফেংশেনের সম্ভাব্য আঘাতের কারণে হাজার হাজার বাসিন্দা নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত হয়েছে, যেখানে ভারী বৃষ্টি ও ১-২ মিটার ঢেউয়ের ঝুঁকি রয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ফিলিপাইন প্রতি বছর গড়ে ২০টি ঝড় ও টাইফুন আঘাত হানে
ফিলিপাইন প্রতি বছর গড়ে ২০টি ঝড় ও টাইফুন আঘাত হানে |সংগৃহীত

ফিলিপাইনের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলীয় অঞ্চলের একটি দ্বীপে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ফেংশেনের আঘাত হানার আশঙ্কায় শনিবার সেখানকার হাজার হাজার বাসিন্দা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে গেছে। ঝড়টি আঘাত হানার আগেই উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা করা হয়েছে।

উদ্ধার কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন।

ঝড়ের কেন্দ্র ২ লাখ ৭০ হাজার মানুষের দ্বীপ ক্যাটানডুয়ানেসকে অতিক্রম করতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

দ্বীপটিতে দিনের শেষের দিকে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।

সরকারি আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে, ফেংশেন ভারী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ১-২ মিটার (৩-২ ফুট) ঢেউয়ের কারণে উপকূলে আছড়ে পড়া উপকূলীয় বন্যার ‘ন্যূনতম থেকে মাঝারি ঝুঁকি’ রয়েছে।

প্রাদেশিক দুর্যোগ অফিস জানিয়েছে, ক্যাটানডুয়ানেসের ৯ হাজারের বেশি বাসিন্দা নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন।

উদ্ধার কর্মকর্তা গেরি রুবিও বলেন, ক্যাটানডুয়ানেস প্রাদেশিক সরকার স্থানীয় কর্মকর্তাদের উপকূল, নিম্নভূমি ও ভূমিধস-প্রবণ ঢালসহ ‘উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার’ বাসিন্দাদের জন্য ‘তাদের নিজ নিজ স্থানান্তর পরিকল্পনা সক্রিয় করার’ নির্দেশ দিয়েছে।

পার্শ্ববর্তী প্রদেশ সোরসোগন ও অ্যালবেও স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ফিলিপাইন প্রতি বছর গড়ে ২০টি ঝড় ও টাইফুন আঘাত হানে। নিয়মিতভাবে দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। ওই এলাকাগুলোতে লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।

বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন, মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের এই গ্রহ উষ্ণ হওয়ার সাথে সাথে ঝড় অধিকতর শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

ফেংশেন এমন এক সময় আঘাত হানতে যাচ্ছে, যখন দেশটি গত তিন সপ্তাহে একাধিক বড় ভূমিকম্পের কবলে পড়ে কমপক্ষে ৮৭ জন প্রাণ হারিয়েছে।
সূত্র : বাসস