কানাডা ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর

দুই দেশের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তিও হয়েছে। যার মাধ্যমে সামরিক প্রশিক্ষণ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সাইবার প্রতিরক্ষা ও শান্তিরক্ষাবিষয়ক সহযোগিতা আরো জোরদার হবে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি |সংগৃহীত

কানাডার সাথে একটি দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে সই করেছে ইন্দোনেশিয়া। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কানাডার সবচেয়ে বড় রফতানি বাজারে তাদের ৯৫ শতাংশেরও বেশি পণ্যের শুল্কমুক্তি বা শুল্ক কমানোর লক্ষ্যে করা হয়েছে।

কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এএফপিকে জানিয়েছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এই কৌশলগত চুক্তিটি করা হয়েছে। এদিকে একে ‘সঠিক সময়ে সঠিক অংশীদারের সাথে সঠিক চুক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।

তিনি আরো বলেন, ইন্দোনেশিয়া হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তার দেশের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার।

বুধবার অটোয়া সফররত ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে অভিহিত করেন।

কারণ আসিয়ান সদস্যভুক্ত দেশের সাথে কানাডার এই ধরনের চুক্তি এটিই প্রথম। তিনি আরো বলেন, ‘আমি খুবই ভাগ্যবান যে আমি এই চুক্তি ইন্দোনেশিয়ায় ফিরিয়ে আনতে পারছি।’

উল্লেখ্য, কানাডার রফতানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে গম, পটাশ, কাঠ ও সয়াবিন। সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) কানাডাকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তার অবস্থান শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সময় ঘোষিত কৌশলগত পরিকল্পনার সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এই চুক্তির আওতায় ইন্দোনেশিয়ার ৯০ শতাংশেরও বেশি আমদানি পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নেয়া হবে। যা উত্তর আমেরিকার বাজারে দেশটির পোশাক ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি আরো সহজ করবে।

এ সময় দুই দেশের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তিও হয়েছে। যার মাধ্যমে সামরিক প্রশিক্ষণ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সাইবার প্রতিরক্ষা ও শান্তিরক্ষাবিষয়ক সহযোগিতা আরো জোরদার হবে।

সূত্র : বাসস