নতুন নিরাপত্তা চুক্তি করল অস্ট্রেলিয়া-ইন্দোনেশিয়া

চুক্তিটি ২০২৪ সালে স্বাক্ষরিত দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা চুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আগামী বছর ইন্দোনেশিয়া সফর করে নতুন চুক্তিটি স্বাক্ষর করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো |সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়া একটি নতুন নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছে। এতে ঘনিষ্ঠ সামরিক সহযোগিতার কথাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) সিডনিতে আলোচনার পর দুই দেশের নেতারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

সিডনি থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ক্যানবেরা দীর্ঘদিনের মিত্র ওয়াশিংটনের আরো ঘনিষ্ঠ হয়েছে। তারা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান চীনের শক্তি রোধ করার প্রয়াসে সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করেছে। তবে জাকার্তা নিরপেক্ষতা অবলম্বন করেছে। দেশটি ওয়াশিংটনের খুব বেশি কাছে আসার বিষয়ে সতর্ক থেকেছে এবং বেইজিংয়ের দিকে ঝুঁকতেও খুব কমই অভিপ্রায় দেখিয়েছে।

সিডনির রয়েল অস্ট্রেলিয়ান নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সাথে যৌথ সম্মেলকালে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর বলেন, সাধারণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি নতুন দ্বিপক্ষীয় চুক্তির বিষয়ে তাদের আলোচনা বাস্তবসম্মতভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

আলবানিজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই চুক্তি আমাদের উভয় দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার সর্বোত্তম উপায় হিসেবে একসাথে কাজ করার স্বীকৃতি দেবে।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আগামী বছর ইন্দোনেশিয়া সফর করে নতুন চুক্তিটি স্বাক্ষর করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, চুক্তিটি ২০২৪ সালে স্বাক্ষরিত দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা চুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। যা প্রতিযোগিতাপূর্ণ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং অন্য দেশে পরিচালিত প্রতিটি সামরিক বাহিনীর জন্য বিধান অন্তর্ভুক্ত করে।

তিনি আরো বলেন, এটি ‘পারস্পরিকভাবে উপকারী নিরাপত্তা কার্যক্রম এবং যদি উভয় দেশের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়, তাহলে সেই হুমকি মোকাবেলা করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে বা যৌথভাবে কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, তা নিয়ে পরামর্শ ও বিবেচনা করার সুবিধা প্রদান করবে’।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই অঞ্চল উত্তাল থাকায়, ইন্দোনেশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের আশা করছে অস্ট্রেলিয়া। আগস্টে ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মিত্রদের সাথে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেয় অস্ট্রেলিয়া।

সূত্র : বাসস