যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে চীনের প্রদেশভিত্তিক রফতানি ক্ষতি

২০২৫ সালের প্রথম আট মাসে চীনের যুক্তরাষ্ট্রমুখী রফতানি বছরওয়ারি ১৫.৫ শতাংশ কমেছে। তবে এই পতন সব প্রদেশে সমান নয়। বরং মার্কিন বাজারের ওপর নির্ভরতা অনুযায়ী প্রভাব ভিন্ন হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

২০২৫ সালের প্রথম আট মাসে চীনের যুক্তরাষ্ট্রমুখী রফতানি বছরওয়ারি ১৫.৫ শতাংশ কমেছে। তবে এই পতন সব প্রদেশে সমান নয়। বরং মার্কিন বাজারের ওপর নির্ভরতা অনুযায়ী প্রভাব ভিন্ন হয়েছে।

সবচেয়ে নির্ভরশীল অঞ্চলগুলো

চীনের পূর্ব উপকূলীয় প্রদেশ গুয়াংডং, ঝেজিয়াং, জিয়াংসু, সাংহাই, শানডং ও ফুজিয়ান মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রমুখী রফতানির প্রায় ৮০ শতাংশ দিচ্ছে। শানজি প্রদেশ সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল- এর ২২.৫ শতাংশ রফতানি মার্কিন বাজারে যায়। ফুজিয়ান (১৬.৪ শতাংশ) ও সিচুয়ান (১৪.৬ শতাংশ)ও জাতীয় গড় (১১.৮ শতাংশ) এর ওপরে।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল

শুল্কের ধাক্কায় ইউনান প্রদেশের রফতানি ৭১ শতাংশ কমেছে। শানসি (৪৭.৯ শতাংশ) ও ছিংহাইতেও (৩৯.৮ শতাংশ)তেও বড় পতন হয়েছে। ফুজিয়ান প্রদেশের জুতার রফতানি কমেছে ২৩.৮ শতাংশ ।

যেখানে রফতানি বেড়েছে

কিছু প্রদেশ শুল্ক সত্ত্বেও মার্কিন রফতানি বাড়াতে পেরেছে। হুবেই, গুয়াংসি, হেইলংজিয়াং, তিব্বত, ইনার মঙ্গোলিয়া ও গানসুতে রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শিনজিয়াং অঞ্চলে বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ২৬৫ শতাংশ ।

খাতভিত্তিক প্রভাব

বিদ্যুৎ-যন্ত্রাংশ : মূল রফতানি খাত হলেও যুক্তরাষ্ট্রে কমেছে। তবে ইউরোপ, জাপান ও উদীয়মান বাজারে বাড়ছে।

ফার্নিচার, খেলনা, জুতা : মার্কিন বাজারে নির্ভরতা বেশি থাকায় বড় ক্ষতি।

‘ডি মিনিমিস’ সুবিধা বন্ধ হওয়া : ফুজিয়ান, সিচুয়ান ও চংকিং-এ বিশেষ পণ্যের রফতানি যথাক্রমে ৫৫.৩ শতাংশ, ৭৪.১ শতাংশ ও ৮৭.৯ শতাংশ কমেছে। বিপরীতে হুবেইতে ৩৫৪.৯ শতাংশ বেড়েছে।

সমগ্র চিত্র

শুল্কের কারণে চীনের কিছু প্রদেশ বড় ক্ষতির মুখে পড়লেও, অন্যরা দ্রুত সরবরাহ চেইন স্থানান্তর ও নতুন বাজারে প্রবেশ করে ঘাটতি পুষিয়ে নিচ্ছে। বিশেষত ইলেকট্রনিক্স খাত ভারতসহ এশিয়ার নতুন বাজারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে।

সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট