যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও কম্বোডিয়ায় অব্যাহত বোমা হামলা থাইল্যান্ডের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরও থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ায় এফ-১৬ দিয়ে বোমা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কম্বোডিয়া; চলমান সীমান্ত সংঘর্ষে হতাহত ও বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
থাইল্যান্ডের বোমা হামলায় কম্বোডিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা
থাইল্যান্ডের বোমা হামলায় কম্বোডিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা |সংগৃহীত

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া চলমান যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার এই দাবির কয়েক ঘণ্টা পরও থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করেছে কম্বোডিয়া।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, থাই সামরিক বাহিনী দু’টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে সাতটি বোমা নিক্ষেপ করেছে।

মন্ত্রণালয় আরো জানায়, থাই বাহিনী এখনো বোমাবর্ষণ বন্ধ করেনি এবং এখনো হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খেমার টাইমস কম্বোডিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী পুরসাত প্রদেশের থমোর দা এলাকায় দু’টি হোটেলে বোমা হামলা চালিয়েছে হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি ভয়াবহভাবে বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল ও ক্যাসিনো ভবনগুলোর ছবি প্রকাশ করেছে।

এই অব্যাহত বোমাবর্ষণের অভিযোগ আসে এমন সময়, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার বলেন যে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সব ধরনের গোলাগুলি বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে।

ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘শুক্রবার সকালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সাথে আমার খুব ভালো আলোচনা হয়েছে।‘

তিনি আরো বলেন, ‘তারা আজ সন্ধ্যা থেকেই সব ধরনের গোলাগুলি বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে। এছাড়া মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সহায়তায় আমার এবং তাদের সাথে করা মূল শান্তি চুক্তিতে ফিরে যেতে সম্মত হয়েছে।‘

সোমবার শুরু হওয়া সর্বশেষ সীমান্ত সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত উভয় দেশের অন্তত ২০ জন বেসামরিক নাগরিক ও সৈন্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ২০০ জন। ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের উভয় পাশে আনুমানিক ছয় লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা