চলতি বছরের অন্যতম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগি বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভিয়েতনামে আঘাত হেনেছে। এতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে, ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড়টিরে তাণ্ডবে ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯২ মাইল (১৪৯ কিলোমিটার) বেগে ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলীয় উপকূলজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ডাক লাক প্রদেশে একটি বাড়ি ধসে কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং গিয়া লাই প্রদেশে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সাইট এখনো নিহতের সংখ্যা বা আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতি প্রকাশ করেনি। গত সপ্তাহে ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের ফলে প্রায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
টাইফুনের আগে ভিয়েতনামের সামরিক বাহিনী ত্রাণ তৎপরতার জন্য দুই লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি সৈন্য ও কর্মী মোতায়েন করেছে। এছাড়াও ছয় হাজার ৭০০টিরও বেশি যানবাহন ও ছয়টি বিমানও মোতায়েন করা হয়েছে। কিছু বিমানবন্দর ও এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটে ভিয়েতনামে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে অনেক বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে অথবা বন্যায় ডুবে গেছে। অন্যদিকে তীব্র বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
দেশটির জাতীয় আবহাওয়া দফতর সতর্ক করে জানিয়েছে, সাতটি শহর ও বিভিন্ন প্রদেশের শতাধিক অঞ্চল আগামী কয়েক ঘণ্টায় ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছে।
সূত্র : বিবিসি



