চীনে ভারী বৃষ্টিপাত, সরিয়ে নেয়া হলো ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত সপ্তাহে বেইজিংয়ের উত্তরাঞ্চলীয় উপশহরগুলোতে বন্যায় কমপক্ষে ৪৪ জনের প্রাণহানি ও নয়জন নিখোঁজ রয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সংগৃহীত

চীনের রাজধানী বেইজিং থেকে ৮২ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে বেইজিংয়ের উপশহরগুলোতে বন্যায় বহু মানুষের মৃত্যু হওয়ার পর চীনের কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

শহরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ সদর দফতরের উদ্বৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার (৪ আগস্ট) রাত ৯টা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

চীনা কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপশহর মিয়ুনে বন্যার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। সেইসাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ফাংশান, পশ্চিম মেন্টোগু ও উত্তর হুয়াইরোতেও সতর্কতা জারি করেছে।

পৌর আবহাওয়া পরিষেবা সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে লাল সতর্কতা জারি করেছে। যা চার-স্তর ব্যবস্থার মধ্যে সর্বোচ্চ।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত সপ্তাহে বেইজিংয়ের উত্তরাঞ্চলীয় উপশহরগুলোতে বন্যায় কমপক্ষে ৪৪ জনের প্রাণহানি ও নয়জন নিখোঁজ রয়েছে। এর মধ্যে ৩১ জনের মৃত্যু হয় মিয়ুন এলাকার একটি বৃদ্ধনিবাসে। এ ঘটনায় স্থানীয় এক কর্মকর্তা দুর্যোগ প্রস্তুতিতে ‘ঘাটতির’ কথা স্বীকার করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা এএফপিকে জানান, পানির স্রোতের তোড় এতটাই বেশি ছিল যে তারা প্রস্তুতি নেয়ার আগেই তা ঘরবাড়ি ও গ্রাম ধ্বংস করে দেয়।

উল্লেখ্য, গ্রীষ্মকালে প্রায়ই চীনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে। এ সময় কোনো কোনো অঞ্চলে ভারী বর্ষণ হয়। আবার কিছু অঞ্চল তীব্র তাপদাহে পুড়ে যায়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্বন নির্গমনকারী দেশ চীন। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত তীব্র আবহাওয়ার ঘটনা বাড়ছে।

তবে চীন একইসাথে নবায়নযোগ্য জ্বালানির পাওয়ার হাউসও। ২০৬০ সালের মধ্যে তারা দেশকে ‘কার্বন নিরপেক্ষ’ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

সূত্র : এএফপি/বাসস