উত্তর কোরিয়ার সাথে ‘সামরিক আস্থা’ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দক্ষিণ কোরিয়ার

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি আশা করি উত্তর কোরিয়া আস্থা পুনরুদ্ধার ও সংলাপ পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টার প্রতিদান দেবে।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং |সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ‘সম্মান’ করার এবং ‘সামরিক আস্থা’ তৈরি করার অঙ্গীকার করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের কোনো ইচ্ছে নেই পিয়ংইয়ংয়ের এমন মন্তব্যের একদিন পরেই তিনি এ কথা বলেছেন।

সিউল থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জুন মাসে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই লি জে মিয়ং প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন যে তিনি পারমাণবিক অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়ার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করবেন এবং কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপ চালিয়ে যাবেন। যা তার একগুঁয়ে অবস্থানধারী পূর্বসূরির নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত।

জাপানি শাসন থেকে মুক্তির বার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে লি জে মিয়ং বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার উত্তর কোরিয়ার সাথে ‘উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস ও আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য ধারাবাহিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে’।

সিউলের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ইউনিফিকেশন এডুকেশন অনুসারে, ১৫ আগস্ট জাপান থেকে মুক্তির দিনটি উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয় দেশেই পালিত একমাত্র সরকারি ছুটির দিন। এই দিনটিকে দুই দেশই ‘জাতীয় মুক্তি দিবস’ হিসেবে পালন করে।

লি জে মিয়ং বলেন, ‘আমরা উত্তর কোরিয়ার বর্তমান ব্যবস্থার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা নিশ্চিত করছি।’ উত্তর কোরিয়ার সাথে শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার কোনো ইচ্ছা দক্ষিণ কোরিয়ার নেই ।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি আশা করি উত্তর কোরিয়া আস্থা পুনরুদ্ধার ও সংলাপ পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টার প্রতিদান দেবে।’

এর ঠিক এক দিন আগে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে ‘সম্পর্ক উন্নত করার কোনো ইচ্ছা নেই’ বলে জানান। উত্তর কোরিয়া প্রচারণামূলক লাউডস্পিকার সরিয়ে নিচ্ছে এমন প্রতিবেদনও তিনি অস্বীকার করেছেন।

গত জুন মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছিল, দুই দেশই অসামরিকীকরণ অঞ্চলজুড়ে প্রচারণা সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। গত সপ্তাহে তারা জানায়, উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা সীমান্তে লাউডস্পিকার ভেঙে ফেলছে।

সূত্র : বাসস