থাইল্যান্ডে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। দেশটির সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম থাই পিবিএস, টেলিভিশন চ্যানেল পিপিটিভি এবং ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম প্রচাথাই সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল সংসদ ভেঙে দেন। দেশটির আইন অনুযায়ী, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
নির্বাচন সংস্থার একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দিন নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি সভা করছে।
গত সপ্তাহে পার্লামেন্টের বৃহত্তম দল বিরোধী পিপলস পার্টির সাথে অনুতিনের বিরোধিতা এবং প্রতিবেশী দেশ কম্বোডিয়ার সাথে সীমান্ত সংঘাতের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্তের পর প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এর আগে, গত সেপ্টেম্বর অনুতিনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পক্ষে সমর্থন দিয়েছিল পিপলস পার্টি। এর বিনিময়ে তিনি সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করা এবং জানুয়ারির শেষ নাগাদ পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
৫৯ বছর বয়সী আনুতিন একজন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক সমঝোতাকারী হিসেবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ডে জাতীয়তাবাদী আবেগের উত্থান তার জন্য রাজনৈতিকভাবে লাভজনক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, বিশেষ করে যখন থাই সেনাবাহিনী কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে সার্বভৌমত্ব রক্ষার নামে সামরিক অবস্থানে রয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স



