ইন্দোনেশিয়ার একটি ছাত্র সংগঠন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানী জাকার্তায় অবস্থিত সংসদ ভবনে বিক্ষোভ করবে শিক্ষার্থীরা। সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের প্রস্তাবিত বৈঠক আয়োজনের কোনো লক্ষণ না থাকায় এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত হয়েছেন।
গত সপ্তাহের বিক্ষোভ মূলত পুলিশি সহিংসতা ও রাষ্ট্রীয় ব্যয় সংকোচনকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শিক্ষার্থী, শ্রমিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো সক্রিয় ভূমিকা নেয়। বিশেষ করে পুলিশের গাড়ি চাপায় এক মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলন হয়ে ওঠে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ইন্দোনেশিয়াজুড়ে দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এসব বিক্ষোভে লুটপাট ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং এক হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হন। নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের জন্য সরকার তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে।
স্থানীয়ভাবে বেম সি নামে পরিচিত ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট জানায়, মানুষের উদ্বেগ রাস্তায় বিক্ষোভের কারণে নয়, বরং তা হচ্ছে দুর্নীতি ও আইনের রাজনৈতিকীকরণে।
বুধবার সংসদ সদস্যদের সাথে ১০টি ছাত্র ইউনিয়ন বৈঠক করেছে। তারা পুলিশি সহিংসতার একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। একইসাথে তারা আইনপ্রণেতাদের জন্য ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা এবং সাধারণ ইন্দোনেশীয়দের অর্থনৈতিক কষ্টের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরেন।
ডেপুটি হাউস স্পিকার তাদের বৃহস্পতিবার সরকারের সাথে বৈঠকের সুযোগ দেয়ার কথা জানান। তবে বেম সি নেতা মুজাম্মিল ইহসান জানান, পরে এ বিষয়ে আর কিছু জানানো হয়নি।
সূত্র : রয়টার্স