থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সীমান্তে বিরোধপূর্ণ এলাকায় প্রাণঘাতী সংঘর্ষ থামাতে সোমবার মধ্যরাত থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও বিচ্ছিন্ন গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেছে থাইল্যান্ড।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র উইনথাই সুভারি বলেছেন, ‘চুক্তি কার্যকর হওয়ার সময় কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী থাই ভূখণ্ডের বেশ কয়েকটি এলাকায় সশস্ত্র আক্রমণ চালায়। এটি চুক্তির ইচ্ছাকৃত লঙ্ঘন এবং পারস্পরিক আস্থা নষ্ট করার একটি স্পষ্ট প্রচেষ্টা। আত্মরক্ষার জন্য থাইল্যান্ড যথাযথভাবে পাল্টা জবাব দিতে বাধ্য হয়েছে।’
মালয়েশিয়ায় শান্তি আলোচনার পর কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড উভয়ের সম্মতিতে সীমান্তের বিতর্কিত অঞ্চলে সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য সোমবার মধ্যরাত থেকে একটি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। পাঁচ দিনের এই সংঘর্ষে দুই দেশের কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত এবং প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের খবরকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, মঙ্গলবার সকালে উভয় দেশের সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে নির্ধারিত আলোচনার আগে তিনি কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘উত্তেজনা বৃদ্ধির কোনো ঘটনা ঘটেনি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
এদিকে কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা এক ব্রিফিংয়ে বলেন, মালয়েশিয়ায় চুক্তির পর থেকে সীমান্তে কোনো যুদ্ধ হয়নি।
থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশ থেকে আল জাজিরা জানিয়েছে, থাই সেনাবাহিনী ‘সীমান্তের বেশ কয়েকটি এলাকায় কয়েকটি সংঘর্ষের’ খবর দিয়েছে।
অপরদিকে থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে কম্বোডিয়ার সামরাওং শহর থেকে এএফপি জানিয়েছে, সোমবার মধ্যরাতের ৩০ মিনিট আগে থেকে বিস্ফোরণের শব্দ বন্ধ হয় এবং ভোর পর্যন্ত শান্তি বিরাজ করে।
সূত্র : আল জাজিরা