সীমান্ত সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা বেড়ে চলায় থাইল্যান্ডের সাথে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে কম্বোডিয়া। ইতোমধ্যে এই সংঘাতে দুই দেশের ৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সাধারণ নাগরিকও রয়েছেন।
শনিবার (২৫ জুলাই) বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত চেয়া কিও জানান, তার দেশ বিনা শর্তে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবসহ বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়েছে। তবে থাইল্যান্ড এই প্রস্তাবের ব্যাপারে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি। উল্টো তারা তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী আটটি জেলায় সামরিক আইন জারি করেছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হয়েছেন এবং প্রায় দুই লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। দুই দেশই পরস্পরকে প্রথম গুলি চালানোর দায়ে অভিযুক্ত করছে।
শনিবার থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কম্বোডিয়ান বাহিনী দক্ষিণ উপকূলবর্তী নতুন একটি এলাকায় হামলা চালিয়েছে। তবে থাই নৌবাহিনী তাদের পিছু হটাতে সক্ষম হয়েছে।
এর আগে থাইল্যান্ডের সুরিন, উবন রাচাথানি এবং সিসাকেট প্রদেশে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। থাই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটিতে ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক ও ছয়জন সেনাসহ মোট ১৯ জন নিহত হয়েছেন এবং প্রায়েএক লাখ ৪০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে পাঁচজন সেনা এবং আটজন বেসামরিক নাগরিকসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন। দেশটি বলছে, এ সংঘর্ষে তাদের ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
শুক্রবার থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই সতর্ক করে বলেন, পরিস্থিতি ‘যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে’। তিনি জানান, ভারী অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে এবং সংঘর্ষ ইতোমধ্যেই সীমান্তের ১২টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।