উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দেশটির পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছেন। এর আগে, হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিম জং উনের সাথে আলোচনা করতে চান। এরপরই তিনি এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
সিউল থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত এক বিবৃতিতে কিম ইয়ো জং উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে বলেন, পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র হিসেবে উত্তর কোরিয়ার অবস্থান অস্বীকার করার যেকোনো প্রচেষ্টা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করা হবে।
তিনি বলেন, তার ভাই ও ট্রাম্পের মধ্যে ‘ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ নয়’। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ভবিষ্যতের কোনো আলোচনায় ‘পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের উদ্দেশ্যে’ এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা তিনবার বৈঠক করেছিলেন। তবে ২০১৯ সালে হ্যানয়ে তাদের দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনের পর উত্তর কোরিয়া কী পাবে তা নিয়ে একমত হতে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে পিয়ংইয়ং তার পারমাণবিক কর্মসূচি ত্বরান্বিত করেছে।
মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ অ্যাজেন্সি জানায়, কিম ইয়ো জং বলেন, ‘কিছুদিন আগে হোয়াইট হাউসের একজন কর্তৃত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেছেন, তিনি (ট্রাম্প) এখনো গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার (ডিপিআরকে) সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ অর্জনের জন্য ডিপিআরকে নেতার সাথে আলোচনা করতে চান।’
তিনি বলেন, ‘আমি এই সত্য অস্বীকার করতে চাই না যে আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান ও বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ নয়।’ তবে তিনি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ অর্জনের জন্য এটি ব্যবহারের চেষ্টা করার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেন।
তিনি বলেন, ‘যদি এটি সেই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা অন্য পক্ষের প্রতি উপহাস ছাড়া আর কিছুই নয়।’ এ সময় তিনি উত্তর কোরিয়াকে ‘পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে, ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতার সাথে তার ‘দুর্দান্ত সম্পর্ক’ নিয়ে কথা বলেন এবং ইঙ্গিত দেন যে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের তৃতীয় প্রজন্মের শাসকের সাথে পুনরায় আলোচনা শুরু করার চেষ্টা করতে পারেন।
সূত্র : বাসস