জাপানে মার্কিন ‘টাইফুন’ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্তে চীন ও রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

জাপানে আগামী মাসে যৌথ সামরিক মহড়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রকে ‘টাইফুন’ নামের মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
টোকিওর উপকণ্ঠে ইয়োকোটা বিমানঘাঁটিতে একটি অনুষ্ঠানে মার্কিন সামরিক কমান্ডাররা অংশগ্রহণ করেন
টোকিওর উপকণ্ঠে ইয়োকোটা বিমানঘাঁটিতে একটি অনুষ্ঠানে মার্কিন সামরিক কমান্ডাররা অংশগ্রহণ করেন |সংগৃহীত

জাপানে আগামী মাসে যৌথ সামরিক মহড়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রকে ‘টাইফুন’ নামের মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের অনুমতি দেয়ায় টোকিওকে পৃথকভাবে সতর্ক করেছে রাশিয়া ও চীন। দেশ দুটি এ পদক্ষেপকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি বলে বর্ণনা করেছে।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘আমরা একে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার আরেকটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখি। ওয়াশিংটন যেভাবে ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে, এটি তারই অংশ।’

দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা তাস-এ প্রকাশিত মন্তব্যে জাখারোভা বলেন, ‘রাশিয়ার কাছাকাছি অঞ্চলে টাইফুন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন রাশিয়ার জন্য সরাসরি কৌশলগত হুমকি।’

তিনি বলেন, মস্কো লক্ষ করছে, জাপান দ্রুত সামরিকীকরণের পথে হাঁটছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতা বাড়াচ্ছে। জাপান যদি টাইফুন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না করে, তাহলে রাশিয়াকে ‘যথাযথ সামরিক ব্যবস্থা নিতে হবে’। এই অঞ্চলের পরিস্থিতি অবনতির সম্পূর্ণ দায়ভার জাপানকেই বহন করতে হবে।

এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন শুক্রবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-জাপানের উচিত আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রাখা এবং তা নষ্ট না করা, এমনকি ক্ষেপণাস্ত্র সাময়িকভাবে মোতায়েন করে হলেও।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, গুয়ো মন্তব্য করেন, ‘এশীয় কোনো দেশে যুক্তরাষ্ট্রের টাইফুন মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের আমরা সব সময় বিরোধিতা করি।’

সূত্র : আল জাজিরা