ভেনিজুয়েলার ‘কার্টেল দে লস সোলস’কে বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠন (এফটিও) হিসেবে ঘোষণা করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সোমবার (২৪ নভেশ্বর) এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে।
কার্টেল দে লস সোলস বাস্তবে কোনো সংগঠিত কার্টেল নয়। বরং ভেনেজুয়েলার সামরিক কর্মকর্তাদের এবং সরকারি ব্যক্তিদের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার এক প্রচলিত নাম এটি। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সাথে এর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
ভেনিজুয়েলার কাছে ক্যারিবিয়ান সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল সামরিক ঘাঁটি মোতায়েনের মধ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। যা সম্ভাব্য সরাসরি সামরিক পদক্ষেপের জন্য আইনি ভিত্তি প্রদান করতে পারে।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির বিরুদ্ধে তার মাদকবিরোধী অভিযানের পরবর্তী পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছেন ট্রাম্প। ভেনিজুয়েলার ভূখণ্ডে হামলা হলে তা এই অঞ্চলে কয়েক মাস ধরে চলমান মার্কিন অভিযানের তীব্রতা বৃদ্ধি করবে।
মাদক পাচারের অভিযোগে প্রশান্ত ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের নৌযাগুলোতে মার্কিন হামলায় ৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের কর্মকর্তা ও আন্তর্জাতিক আইনের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হামলাগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ডের সমান।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন আগামী দিনে অভিযানের একটি নতুন ধাপ শুরু করতে প্রস্তুত। তবে নতুন অভিযানের সঠিক সময় ও পরিধি এবং ট্রাম্প পদক্ষেপ নেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না তা জানা যায়নি।
একজন ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ভেনিজুয়েলার বিষয়ে তারা কোনো কিছুই উড়িয়ে দেবেন না। অন্যদিকে, দুই কর্মকর্তা বলেন, গোপন অভিযান সম্ভবত মাদুরোর বিরুদ্ধে একটি নতুন পদক্ষেপের প্রথম অংশ হবে। ভেনিজুয়েলার দীর্ঘদিনের এই নেতাকে উৎখাতের প্রচেষ্টাসহ বিকল্পগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে।
সূত্র : আল জাজিরা



