মার্কিন সেনাবাহিনীকে বিস্ফোরক সরবরাহকারী কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ

টেনেসির ম্যাকইউইনে মার্কিন সেনাবাহিনীকে বিস্ফোরক সরবরাহকারী অ্যাকুরেট এনার্জেটিক সিস্টেমস কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৮ জন নিখোঁজ ও মৃত আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
অ্যাকুরেট এনার্জেটিক সিস্টেমস কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ
অ্যাকুরেট এনার্জেটিক সিস্টেমস কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ |সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির গ্রামীণ এলাকায় অ্যাকুরেট এনার্জেটিক সিস্টেমস নামের একটি বিস্ফোরক প্রস্তুতকারক কোম্পানির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই প্রাণ হারিয়েছেন। কোম্পানিটি মার্কিন সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর জন্য বিস্ফোরক সরবরাহ করত।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পুরো কারখানাটি মাটির সাথে মিশে যায়। আকাশপথের ফুটেজে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের পর ধোঁয়া ও আগুনে এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ধ্বংসস্তূপ ও পুড়ে যাওয়া গাড়ির অবশিষ্টাংশ চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দ ১৫ মাইল দূর থেকেও অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

হামফ্রিস কাউন্টির শেরিফ ক্রিস ডেভিস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, বলার মতো কিছু নেই। সব শেষ। এটি আমার দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ দৃশ্যগুলোর একটি।

তিনি জানান, এ ঘটনায় একাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে তিনি সংখ্যা নিশ্চিত করেননি।

প্রাথমিকভাবে ১৯ জন নিখোঁজ বলে ধারণা করা হলেও পরে একজনকে নিরাপদে পাওয়া গেছে বলে হামফ্রিস কাউন্টি ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট অ্যাজেন্সি জানিয়েছে।

প্রথমদিকে উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে প্রবেশ করতে পারেননি, কারণ বিস্ফোরণের পরও সেখানে ছোট ছোট বিস্ফোরণ চলছিল। বিকেল নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানায় স্থানীয় জরুরি বিভাগ।

কোম্পানির ওয়েবসাইটে বলা আছে, তারা সেনাবাহিনী, অ্যারোস্পেস, ভবন ভাঙা এবং বিদেশী সামরিক বাহিনীর জন্য বিস্ফোরক উৎপাদন ও গবেষণা করে। বাকসনোর্ট এলাকার পাহাড়ি অঞ্চলে আটটি ভবনজুড়ে তাদের স্থাপনা ছিল, যা ন্যাশভিলের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ৯৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং টেনেসির গভর্নর বিল লি ঘটনাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

সরকারি নথি অনুযায়ী, অ্যাকুরেট এনার্জেটিক সিস্টেমস ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগ কর্তৃক কর্মীদের বিপজ্জনক রাসায়নিক ও বিকিরণ থেকে সুরক্ষার নিয়ম ভঙ্গের দায়ে জরিমানা পেয়েছিল। এছাড়া ২০১৪ সালে একই এলাকায় অন্য একটি গোলাবারুদ কারখানায় বিস্ফোরণে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছিলেন।

সূত্র : এপি, রয়টার্স