শুল্ক নিয়ে ব্রাজিলের ডব্লিউটিও প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সাথে আলোচনায় অংশ নিতে ব্রাজিলের অনুরোধে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক এক চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) |সংগৃহীত

ওয়াশিংটন আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সাথে আলোচনায় অংশ নিতে ব্রাজিলের অনুরোধে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক এক চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে ব্রাজিল বিষয়টি ডব্লিউটিওতে তোলে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লাতিন আমেরিকার এই অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশের যুক্তরাষ্ট্রগামী রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে দেন। এর মধ্যে কফি, গরুর গোশত ও চিনির মতো প্রধান পণ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সাবেক দক্ষিণপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগে চলমান মামলাকে ‘উইচ হান্ট’ (ডাইনি শিকার) আখ্যা দিয়ে এর প্রতিশোধ হিসেবেই ব্রাজিলকে উচ্চ শুল্কে আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

১৫ আগস্ট তারিখের ওয়াশিংটনের ডব্লিউটিও প্রতিনিধিদলের এক চিঠিতে বলা হয়েছে ‘যুক্তরাষ্ট্র ব্রাজিলের পরামর্শে বসার অনুরোধ’ মেনে নিয়েছে। আমরা আপনার মিশনের কর্মকর্তাদের সাথে পারস্পরিক সুবিধাজনক তারিখে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।

তবে চিঠিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ব্রাজিল যে কিছু বিষয় তুলেছে সেগুলো জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন, যা ডব্লিউটিওর বিতর্ক নিষ্পত্তির আওতায় সমাধানযোগ্য নয়।

ডব্লিউটিওর পরামর্শ প্রক্রিয়ায় সাধারণত সালিশি পর্যায়ে যাওয়ার আগে আলোচনা করে সমাধান খোঁজা হয়।

ট্রাম্পের শুল্ক আদেশে আরো অভিযোগ করা হয় যে ব্রাজিল সরকারের সাম্প্রতিক নীতি ও কর্মকাণ্ড মার্কিন অর্থনীতি, জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, যেসব দেশের ওপর ওয়াশিংটন পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে তাদের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু ব্রাজিলের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বরং বাণিজ্য উদ্বৃত্ততে রয়েছে।

সূত্র : বাসস