যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার (১৫ অক্টোবর) নিশ্চিত করেছেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে (সিআইএ) অনুমোদন দিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থলভিত্তিক সামরিক অভিযানের কথাও বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলার নৌযানগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক হামলার কারণে ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বুধবার ট্রাম্প তার শীর্ষ আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের সাথে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তার সিআইএ অনুমোদন সম্পর্কে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে দুটি কারণে অনুমোদন দিয়েছি। প্রথমত, তারা তাদের কারাগারের কয়েদিদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে।’ দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তিনি মাদক পাচারে ভেনেজুয়েলার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
মাদকপ্রবাহ রোধে যুক্তরাষ্ট্র বিদেশের মাটিতে পদক্ষেপ নেবে এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলা থেকে বিপুল পরিমাণে মাদক আসছে। বেশিভাগই সাগরপথে আসে। কিন্তু আমরা স্থলপথেও তাদের থামাতে যাচ্ছি।’
ট্রাম্পের এই মন্তব্য ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে তার প্রচারণার সর্বশেষ উত্তেজনার ইঙ্গিত দেয়। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। যা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময় থেকে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই, উভয় নেতা সম্ভাব্য শক্তি প্রদর্শনের জন্য ক্যারিবিয়ান সাগরে তাদের সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করেছেন।
ভেনেজুয়েলা সরকার ট্রাম্পের সর্বশেষ মন্তব্য ও সিআইএ অভিযানের অনুমোদনের পাল্টা জবাব দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসঙ্ঘ সনদ লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে।
মাদুরো সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মার্কিন পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো ভেনেজুয়েলায় শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য একটি অভিযানের বৈধতা তৈরি করা। এর চূড়ান্ত লক্ষ্য দেশের সব সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নেয়া।’
সূত্র : আল জাজিরা