দাবানলে পুড়ছে কানাডা, ম্যানিটোবায় জরুরি অবস্থা জারি

বুধবার আলবার্টার উত্তরাঞ্চলের চিপেওইয়ান লেক এলাকায় প্রায় ২৯০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া স্বান হিলস শহরের উত্তরে আরো একটি ভয়াবহ দাবানলে প্রায় এক হাজার ৬০০ হেক্টর এলাকা পুড়ছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
২৭ মে কানাডার ম্যানিটোবার ফ্লিন ফ্লনে দাবানল থেকে ধোঁয়া উড়ছে
২৭ মে কানাডার ম্যানিটোবার ফ্লিন ফ্লনে দাবানল থেকে ধোঁয়া উড়ছে |সংগৃহীত

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা। দেশটির মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাবানলের জেরে ম্যানিটোবা প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এমন অবস্থায় হাজারো মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ম্যানিটোবার প্রাদেশিক সরকারে প্রধান ওয়াব কিনিউ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ফ্লিন ফ্লন শহরসহ ১৭ হাজার মানুষকে দ্রুত স্থানান্তর করতে হবে। বাস্তুচ্যুত মানুষদের উইনিপেগসহ অন্যান্য শহরের ফুটবল মাঠ ও কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় দেয়া হবে। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছেন।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, এটি প্রদেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মানববসতি সরিয়ে নেয়ার ঘটনা। এ বিপর্যয় মোকাবেলায় সরকারের সবস্তরের সহযোগিতা ও বিপুল পরিমাণ সম্পদের প্রয়োজন হবে।

এদিকে দাবানলের কারণে আলবার্টা প্রদেশের কিছু এলাকা থেকে তেল ও গ্যাস উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে এবং একটি ছোট শহরের মানুষদের সরে যেতে বলা হয়েছে।

তেল উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান সিনোভাস এনার্জি জানিয়েছে, আলবার্টার উত্তরে ফস্টার ক্রিক এলাকা থেকে তাদের কিছু কর্মীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

বুধবার আলবার্টার উত্তরাঞ্চলের চিপেওইয়ান লেক এলাকায় প্রায় ২৯০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এটি তেলসমৃদ্ধ ফোর্ট ম্যাকমারির কাছাকাছি এবং এ দাবানলের কারণে সেখানকার তেল কোম্পানিগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

আলবার্টা সরকার জানিয়েছে, চিপেওইয়ান লেক এলাকায় আপাতত সরাসরি কোনো ঝুঁকি না থাকলেও বাতাসের দিক পরিবর্তন হলে তা মারাত্মক হতে পারে। এজন্য এলাকার বাসিন্দাদের এক ঘণ্টার মধ্যে সরে যেতে বলা হয়েছে।

এছাড়া স্বান হিলস শহরের উত্তরে আরো একটি ভয়াবহ দাবানলে প্রায় এক হাজার ৬০০ হেক্টর এলাকা পুড়ছে। শহরটির প্রায় ১২০০ বাসিন্দাকে সোমবার সন্ধ্যায় সরে যেতে বলা হয়। ওই এলাকার তেল ও গ্যাস কোম্পানি অ্যাসপেনলিফ এনার্জি নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিদিনের ৪০০০ ব্যারেল সমপরিমাণের উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে।