যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় গত ১৫ আগস্ট রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিনের সাথে বৈঠক করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেই বৈঠকের এক সপ্তাহ পার হলেও কোনো ইউক্রেন ইস্যুতে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ক্রমেই ধৈর্য হারাচ্ছেন ট্রাম্প।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে শান্তি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হলে রাশিয়ার ওপর আবারো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী করণীয় নিয়ে আমি একটি সিদ্ধান্ত নেব। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে চলেছে। হতে পারে তাদের (রাশিয়া) ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা বা চড়া শুল্ক বা দুটোই চাপানো হবে। আবার এমনও হতে পারে আমরা কিছুই করব না, আর তাদের বলব, এটি আপনাদের লড়াই।’
চলতি সপ্তাহে এক রুশ হামলায় ইউক্রেনে অবস্থিত মার্কিন কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে কয়েকজন কর্মীও আহত হন। ওই ঘটনার জন্যও মস্কোর ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি এটা (হামলা) নিয়ে, এমনকি যুদ্ধের কোনো কিছু নিয়েই সন্তুষ্ট নই।’
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, রাশিয়া তার ও পুতিনের মধ্যে একটি বৈঠক ঠেকাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, এই বৈঠকই যুদ্ধ শেষ করার একমাত্র উপায়। তারা যুদ্ধ শেষ করতে না চাইলে বৈঠক এড়ানোর অজুহাত খুঁজবে।
অন্যদিকে, রুশ প্রেসিডেন্টের দিক থেকে আলোচনায় আপত্তি নেই দাবি করে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, পুতিন বৈঠকে রাজি। তবে বৈঠকের কোনো আলোচ্যসূচি তৈরি হয়নি।
লাভরভের মন্তব্য ও পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে জানতে চাইলে ট্রাম্প শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখা যাক, পুতিন ও জেলেনস্কি একসাথে কাজ করতে পারেন কি-না। তারা অনেকটা তেল আর ভিনেগারের মতো।’
সূত্র : রয়টার্স