ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ একাধিক কৌশলগত স্থানে ইসরাইলের হামলায় নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এর আগে তিনি বলেছিলেন, ইসরাইলি সরকারের একক সিদ্ধান্তেই হামলা চালানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন, ‘ইসরাইল প্রথমে আক্রমণ করেছিল। সেই আক্রমণটি ছিল খুবই শক্তিশালী। আমি পুরোপুরি এই হামলার দায়িত্বে ছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘যখন ইসরাইল প্রথম ইরান আক্রমণ করে, তখন ইসরাইলের জন্য একটি দুর্দান্ত দিন ছিল। কারণ সেই হামলায় ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছিল।’
চলতি বছরের ১৩ জুন ইসরাইল সরাসরি কোনো উস্কানি ছাড়াই ইরানের বিরুদ্ধে ভয়াবহ আক্রমণ শুরু কর। সে সময় ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ জেনারেল ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীর পাশাপাশি অনেক বেসামরিক নাগরিকও নিহত হন। ইরানও পাল্টা জবাবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।
১২ দিনের যুদ্ধের এক পর্যায়ে ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়ে ইসরাইলের সাথে যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুদ্ধের প্রথম দিকে ওয়াশিংটন জোর দিয়ে বলেছিল, ইসরাইল নিজেরাই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা তেহরানকে মার্কিন সেনা ও এই অঞ্চলে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার বিরুদ্ধে সতর্কও করে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সেই সময় বলেছিলেন, ‘আজ রাতে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইল একতরফা পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা ইরানের হামলায় জড়িত নই, এবং আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীকে রক্ষা করা।’
কাতারে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হয়। তারপর থেকে ট্রাম্প বারবারই যুদ্ধবিরতির জন্য কৃতিত্ব নিয়েছেন এবং দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্র ‘সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস’ করেছে।
কিন্তু বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দেন, তিনিই এ যুদ্ধের সূচনা করেছেন। এদিকে তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনার অবস্থা সম্পর্কে জনসাধারণের কাছে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে ইরানি কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলছেন, ইরান বছরের পর বছর ধরে যে জ্ঞান অর্জন করেছে তার মাধ্যমে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি কার্যকর রয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা



