মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে গত মাসের শেষের দিকে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর টেলিফোনে কথা হয়েছে। তাদের মধ্যে ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ’ আলাপ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মাদুরো।
বুধবার ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্র পরিচালিত টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মাদুরো বলেন, প্রায় ১০ দিন আগে ট্রাম্পের সাথে তার ফোনে কথা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাদ্যমে নানা ধরনের খবর বের হওয়ায় এবং তিনি ‘মাইক্রোফোন কূটনীতি’ এড়িয়ে চলতে চাওয়ায় শেষ পর্যন্ত কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভেনিজুয়েলার প্রয়াত নেতা হুগো শ্যাভেজের অধীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন মাদুরো। তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ছয় বছর দায়িত্ব পালনকালে এবং তারপর প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত কয়েক বছরে আমি কূটনৈতিক সংযম শিখেছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং আমাদের কমান্ডার শ্যাভেজের কাছ থেকে শেখা অভিজ্ঞতার আলোকে আমি সংযমকে মূল্য দিই।’
মাদুরো বলেন, এই ফোনালাপ ভবিষ্যতে ‘পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে সংলাপের’ দরজা খুলে দিতে পারে। এমন সম্ভাবনাকে তিনি স্বাগত জানান। তার দেশ সব সময় শান্তির পক্ষে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, তিনি ট্রাম্পের সাথে কথোপকথন নিয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলতে চান না। কারণ, তার কাছে ‘সংযম’ ও ‘সম্মান’ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে, রোববার ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি ভেনিজুয়েলার নেতার সাথে ফোনে কথা বলেছেন। এমন সময়ে তারা ফোনে কথা বললেন, যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাস গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক সংকট পার করছে।
সূত্র : আল জাজিরা



