ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোকে তার উত্তরসূরির বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের জন্য ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ শুরুর আদেশ দিয়েছে। একে ব্রাজিলের গণতন্ত্রে তার বিতর্কিত রাজনৈতিক জীবন নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলমান অস্থিরতা ও আইনি লড়াইয়ের চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে ধরা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বলসোনারোর বিরুদ্ধে মামলার সব কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করে তার দণ্ডকে চূড়ান্ত হিসেবে ঘোষণা করেছে। সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের চার সদস্যের একটি প্যানেলের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন বাকি ছিল। তবে চলতি মাসের শুরুতেই প্যানেল তার আপিল খারিজ করে দিয়েছে।
বিচারপতি আলেক্সান্দ্রে দে মোরায়েস ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্টকে ব্রাসিলিয়ায় ফেডারেল পুলিশ সদর দফতরে তার সাজা ভোগ শুরু করতে বলেন। শনিবার থেকে সেখানে আটক রয়েছেন তিনি। পৃথক একটি মামলায় গৃহবন্দী থাকাকালীন তার ‘অ্যাংকল মনিটর’ (নজরদারিতে ব্যবহৃত বিশেষ যন্ত্র) নষ্ট করার অভিযোগে পুলিশ তাকে আটক করে।
এ সিদ্ধান্ত বলসোনারোর জন্য একটি বড় ধাক্কা। তিনি ২০১৯ সালে অতি ডানপন্থী থেকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। সামরিক শাসনের প্রতি অতীত–স্মৃতিনির্ভর আকর্ষণ, জনতুষ্টিবাদী ভাষণ আর বিভাজনমূলক রাজনীতির মাধ্যমে তিনি দেশকে গভীরভাবে বিভক্ত করে তুলেছিলেন।
২০২২ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর বলসোনারো এখন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, সরকারি পদ থেকে নিষিদ্ধ এবং একসময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তার থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। ট্রাম্প ইতোমধ্যে ব্রাজিলের ওপর থেকে উচ্চহারে আরোপ করা শুল্ক প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। বলসোনারোর বিচারপ্রক্রিয়ার শাস্তি হিসেবে এ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।
সূত্র : রয়টার্স



