যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও কাতার রোববার (৭ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করেছে। হোয়াইট হাউসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
কয়েক মাস আগে দোহায় হামাসের কয়েকজন নেতাকে লক্ষ্য করে ইসরাইলের একটি বিমান হামলা ব্যর্থ হওয়ার পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
দুটি সূত্র মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাক্সিওসকে জানিয়েছে, এটি ছিল গাজা যুদ্ধের অবসান সংক্রান্ত চুক্তির পর দেশগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। কাতার এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে।
অ্যাক্সিওস আরো জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের দূত স্টিভ উইটকফ এ বৈঠকের আয়োজন করেন। বৈঠকটিতে ইসরাইলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মোসাদের গুপ্তচর প্রধান ডেভিড বারনিয়া ও কাতারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি ব্যাপক যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে কাতার। তবে এটি এখনো নাজুক অবস্থায় রয়েছে। কারণ ইসরাইল ও হামাস উভয়ই একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্রবিরতির শর্তাবলী লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।
শনিবার কাতার ও মিসর উভয় দেশই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার ও গাজায় সংঘাতের অবসান ঘটাতে এই চুক্তি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে।
দোহায় এক কূটনৈতিক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল সানি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি তখনই পূর্ণাঙ্গ হতে পারে, যখন ইসরাইলি বাহিনীকে ওই অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হবে, আর এর পরই গাজায় স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।’
অ্যাক্সিওস জানায়, গতকাল রোববারের এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল গাজা শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন।
সূত্র : বাসস



