ভারতের রুশ তেল কেনা কমানোর দাবি পুনর্ব্যক্ত করলেন ট্রাম্প

ট্রাম্প গত সপ্তাহেও একই রকম মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই সময় বলেছিল, তারা দুই দেশের নেতাদের মধ্যে ফোনালাপের বিষয়ে অবগত নয়।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প |সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফোনে আলাপ হয়েছে। এরপরই ট্রাম্প আবারো দাবি করেছেন, রাশিয়ার থেকে ভারত তেল কেনা সীমিত করবে বলে মোদি তাকে আশ্বস্ত করেছেন। কারণ তিনিও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চান।

মোদিও ট্রাম্পের ফোনালাপ এবং দীপাবলির উৎসব উপলক্ষ্যে তার ‘উষ্ণ শুভেচ্ছা’ জানানোর বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন। তবে রাশিয়ার তেল সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

ট্রাম্প গত সপ্তাহেও একই রকম মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই সময় বলেছিল, তারা দুই দেশের নেতাদের মধ্যে ফোনালাপের বিষয়ে অবগত নয়। বুধবার মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সর্বশেষ মন্তব্য সম্পর্কে তাদের কোনো নতুন মন্তব্য নেই।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে দীপাবলি উদযাপনের সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আজ প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে কথা বলেছি, যেমনটি আমি আগেই বলেছি। আমাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং তিনি রাশিয়া থেকে খুব বেশি তেল কিনতে যাচ্ছেন না।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘তিনি রাশিয়া-ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধের অবসান দেখতে চান। তারা খুব বেশি তেল কিনবে না। তারা ইতোমধ্যেই তা অনেক কমিয়েছে এবং আরো কমাতে চলেছে।’

ইউক্রেনে ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেয় এবং দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ফলে ভারত রুশ তেলের অন্যতম বৃহৎ বাজার হয়ে ওঠে।

ভারত কম মূল্যে রুশ অপরিশোধিত তেল কিনেছে এবং তাদের আমদানি বাড়িয়েছে। দেশটি বলেছে, এই সিদ্ধান্ত তার লাখ লাখ মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা প্রদানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের ওপর প্রকাশ্যে ও কূটনৈতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করেছে। যাতে তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেয়। তেল ও গ্যাস রাশিয়ার বৃহত্তম রফতানি পণ্য এবং চীন, ভারত ও তুরস্ক এর প্রধান ক্রেতা।

এই চাপের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এর মধ্যে রাশিয়ান তেল কেনার জন্য অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্কও রয়েছে।

সূত্র : বিবিসি