চীনের সাথে সঙ্ঘাত এড়াতে সামরিক শক্তি বাড়ানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে চীনের সাথে সঙ্ঘাত এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের সামরিক শক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন, নতুন নিরাপত্তা কৌশলে তাইওয়ানের গুরুত্ব আরও জোরালোভাবে তুলে ধরে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প |সংগৃহীত

তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের সাথে সঙ্ঘাত এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) প্রকাশিত তার প্রশাসনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলপত্রে এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যখন গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ান ও জাপানের উপর চাপ বাড়ায়, এই সময় চীন পূর্ব এশিয়ার পানিসীমায় জাহাজ মোতায়েন করে তার সর্বোচ্চ সামুদ্রিক শক্তি প্রদর্শন করেছে।

নথিতে আরো বলা হয়েছে, ’সামরিক শক্তি বাড়ানো বজায় রেখে তাইওয়ান সঙ্ঘাত নিরসন করাই আমাদের অগ্রাধিকার।’

চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। দেশটি তাইওয়ানকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য শক্তি প্রয়োগ করার কথা কখনো অস্বীকার করেনি। দক্ষিণ চীন সাগরও পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে চীন। এটা নিয়ে আশপাশের দেশগুলোর সাথে বিরোধ রয়েছে।

তাইওয়ানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, তবে ওয়াশিংটন দ্বীপটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমর্থক। মার্কিন আইনে তাইওয়ানকে আত্মরক্ষায় প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। এই বিষয়টি বহু বছর ধরে মার্কিন-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বিরক্তিকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৭ সালে তৈরি জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলের চেয়েও তাইওয়ানের বিষয়ে এই নথির ভাষা জোরাল শক্তিশালী। এই নথিতে এক বাক্যে তিনবার তাইওয়ানের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল, যা দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক ভাষার প্রতিধ্বনি।

তবে নতুন কৌশলপত্রে তিনটি অনুচ্ছেদে আটবার তাইওয়ান উল্লেখ করা হয়েছে। নথির উপসংহারে বলা হয়েছে, ‘তাইওয়ানের ওপর যথাযথভাবে মনোযোগ দেয়া হচ্ছে।’ বাণিজ্যসমৃদ্ধ পানিপথে কৌশলগত অবস্থান এবং সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে দ্বীপটির আধিপত্য মনোযোগের প্রধান কারণ।

নথিতে আরো বলা হয়েছে, ’জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত আমরা (যুক্তরাস্ট্র) এমন একটি সামরিক বাহিনী গড়ে তুলব, যা যেকোনো জায়গায় আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে সক্ষম। তবে সামরিক বাহিনী একা এটি করতে পারে না। এজন্য মিত্রদের এগিয়ে আসতে হবে এবং সম্মিলিত প্রতিরক্ষার জন্য আরো ব্যয় করতে হবে।’

সূত্র : রয়টার্স